আমাদের দেশে প্রতিবছরে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ নেই লাখ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবাই পড়াশোনার সুযোগ পায় না। ঠিক তখনই শিক্ষার্থীরা ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন। তবে এর মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা টাকার অভাবে ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না।
তাদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি নতুন একটি আর্টিকেল। আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কম খরচে ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য। আপনারা যারা কম খরচের মধ্যে ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুঁজছেন তাদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন ভাবে পড়লে আপনারা ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ১৪ই মার্চ বাংলাদেশ সরকার এটির অনুমোদন দেয়। ঢাকার মিরপুরে এবং শ্যামলীতে একাধিক ভবনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি।বর্তমানে গাবতলীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়গুলো অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে আছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়াও বিবিএ এমবিএ এক্সিকিউটিভ এমবিএ এলএলবি অনার্স ইংরেজি বিএ অনার্স রয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মাঝারি টিউশন ফি যা সহজ কিস্তিতে পরিশোধযোগ্য একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশীপ এর ব্যবস্থা রয়েছে। আপনারা যারা কম খরচে ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় করছেন তারা চাইলে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি তে ভর্তি হতে পারেন।
ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মধ্যে আরেকটি কম খরচের ভালো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হল ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোড়ার কাজ 2000 সালের প্রথম ভাগে শুরু হয়েছিল । এই বিশ্ববিদ্যালয় টি উত্তরায় অবস্থিত।এটি বাংলাদেশী শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এবং স্বীকৃত।
এটি নিজেই কোর্স এবং পুরস্কার ডিগ্রি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য অনুমোদিত। বর্তমানে এর ক্রেডিট ট্রান্সফার ব্যবস্থা এবং যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাজ্য অস্ট্রেলিয়া এবং ক্যারিবিয়ান কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একাডেমিক সহযোগিতা রয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ সহ মোট ১১ টি বিভাগ রয়েছে। এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ফিস কমানো সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে।
গ্রীন ইউনিভারসিটি অফ বাংলাদেশ
কম খরচের মধ্যে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় যারা করছেন তাদের জন্য সবথেকে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ। গ্রীন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন 1992 এর আওতাধীন। ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ গ্রীন ইউনিভার্সিটি পরিচালনার দায়িত্ব তার গ্রহণ করে। এর স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয় টি ঢাকার কয়টি স্থান থেকে নিজেদের ক্যাম্পাস পর্যন্ত বাস সুবিধা চালু করেছে। এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয় টি তাদের ক্যাম্পাসের সন্নিকটে হোস্টেল সুবিধা চালু করেছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক এবং স্নাতকত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কোর্স চালু রয়েছে। এছাড়াও এখানে ৪ বছর মেয়াদের ইঞ্জিনিয়ারিং বিবিএল এলএলবি বি এর সহ বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
এ বিশ্ববিদ্যালয় টি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দিয়ে থাকেন। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের ভালো রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে টিউশন ফি কমানোরও বিশেষ সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও সেমিস্টার কিংবা ইয়ার ফাইনালে টপার দের জন্য বাড়তি সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও একটি ভালো সুবিধা রয়েছে যেটি হলো এখানে গরীব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থাসহ টিউশন ফি থেকে বিশেষ ছাড় প্রদান। আপনারা যারা কম খরচে ভারত ভালো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি করছেন তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারে গ্রীন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।