খারাপ নারী নিয়ে উক্তি

একজন নারী সবকিছুই করতে পারে। ভালোবেসে একজন পুরুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ বানাতে পারে আবার তার কুকর্ম দ্বারা একেবারে নিঃশেষ করে ফেলতে পারে। তাই নারী বহুরূপী। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতার লাইন হলো- ‌ নদী, নারী, বৃষ্টি করে অনাসৃষ্টি । তাই আমরা আমাদের বাস্তব জীবনেও এরকম ধরনের অনেক বিষয়ই দেখে থাকি। যেখানে নারীরা একটি সংসারকে গুছিয়ে রাখতে পারে সুন্দরভাবে চালাতে পারে আবার বিপরীত চিত্র দেখে

যে একটি নারীর জন্য গোটা সংসার পুরে ছারখার। তাই যদিও সকল নারীর ক্ষেত্রে একই রকম তকমা বসানো আমাদের ঠিক হবে না। কারণ নারী আমার মা নারী আমার বোন নারী আমার স্ত্রী নারী আমার মেয়ে। তাই আমরা সকল নারীর ক্ষেত্রে একই রকম তকমা দেওয়া কখনোই আমাদের উচিত হবে না। আজকে আমরা শুধু খারাপ নারীদের নিয়ে কথা বলব এবং তাদের সম্পর্কিত যে ধরনের উক্তি রয়েছে সেই উক্তিগুলি আপনাদের দেখাবো।

তবে পুজো সমাজে খারাপ নারী রয়েছে তা কিন্তু না পুরুষরাও খারাপ রয়েছে এবং সে সকল খারাপ পুরুষের অতিষ্টেম একটি সংসার ভেঙে যেতে পারে একটি সমাজ ভেঙ্গে যেতে পারে সমাজে অনার্স সৃষ্টি করতে পারে তাই সকল খারাপ মানুষই পারে অনাসৃষ্টি করতে সেটি নারী হোক বা পুরুষ হোক। তবে আজকে আমরা খারাপ নারী নিয়ে যে সকল উক্তি আমাদের পণ্ডিত ব্যক্তিগণ করেছেন সেই গুলো আমরা এখন দেখব। তাহলে চলুন দেখি যে খারাপ নারী সম্পর্কে যে উক্তিগুলি রয়েছে তা আপনাদের সামনে এখন হাজির করব এবং আপনারা এই নারী

অর্থাৎ খারাপ নারীদের নিয়ে যে উক্তি সেগুলি পড়বেন এবং আপনাদের সমাজের পরিবারের বা কোথাও খারাপ নারী থাকে তাহলে আপনি সেগুলি মিলিয়ে দেখতে পারবেন। এবং এখানে যদি খারাপ নারীকে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় কোন উক্তি থাকে অবশ্যই আপনারা চেষ্টা করবেন সে ধরনের উক্তিগুলি তাদের শুনিয়া যদি তাদেরকে সুস্থ সমাজে সমাজের মূলধারা ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায় এ ধরনের চেষ্টা করে যাবেন।

তাহলে চলুন দেখি খারাপ নারী নিয়ে উক্তিগুলো। তবে উক্তিগুলো আমরা হৃদয়ে ধারণা করব।
“ স্ত্রীলোকদিগের উপর যেমন কঠিন শাসন , পুরুষের উপর তেমন কিছু নেই। কথায় কিছু হয় না ,ভ্রষ্ট পুরুষের কোন সামাজিক দণ্ড নেই। একজন স্ত্রী সতীত্ব সম্বন্ধে কোন দোষ করিলে সে আর মুখ দেখাইতে পারে না। “
( বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় )

আমরা সমাজের শুধু খারাপ নারীদের দশটা নারীদের দোষ দিয়ে থাকি। কিন্তু শুধু ১০ টা নারীদের বা খারাপ নারীদের আমরা দোষ দেই সেটি কিন্তু ঠিক নয় এটির জন্য অবশ্য সকলেই দায়ী। একজন খারাপ পুরুষ সমাজে মাথা উঁচু করে চলে কিন্তু একজন খারাপ নারী সে আর সমাজের মুখ দেখাতে পারে না। তাহলে পুরুষেরা যদি মাথা উঁচু করে চলতে পারে অর্থাৎ ভাষা পুরুষ যদি সব কাজ করে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সম্মানের সহিত চলতে পারে তাহলে নারীদের এত দোষ কেন। তাই আমরা শুধু নারীদের দোষ দিবো এমন ঠিক নয়। এখানে আমাদের পুরুষদেরও দায় খুব কম হয় না।

” নারীর হৃদয় হলো এমন একটা জায়গা , যেখানে গেলে সকল পুরুষ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। ” (রেদোয়ান মাসুদ)
তবে আমরা সব সময় নারীকে কোমলমতি হৃদয়ের শান্তশিষ্ট মায়াবী চরিত্রের দেখতে চাই। কিন্তু এই নারী যখন কোনরকম উল্টাপাল্টা খারাপ কিছু করে সত্যিই তাদেরকে ভালো লাগে না কারণ আমরা জানি নারী অবশ্যই শুদ্ধ চরিত্রের অধিকারী হবে তাই নারীকে ভ্রষ্টা চরিত্রের দেখতে কারোরই পছন্দ হয় না বা কেউ সমাজের কেউই তাদের মেনে নিতে চায় না। আর মেনে না নেওয়ার একটাই কারণ হলো সকল নারীকেই মানুষ অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখে এবং তাদেরকে ভালোবাসে এই কারণে নারীর চরিত্র বা যেকোনো দিক ভালই হতে হবে।

আমরা এখন এ ধরনের নারীদের নিয়ে যে উক্তিগুলি রয়েছে তা এক এক করে দেখতে থাকবে পর্ব এবং হৃদয়ে ধারণ করব উক্তিগুলো। প্রয়োজনে আবার বের করব।
” মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকর জায়গা। এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয় ,আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না। “

Updated: February 5, 2024 — 8:15 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *