মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যা থাকে যে সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা প্রত্যেক মেয়ের থাকে। আজকে আমরা কথা বলব বর্তমান যুগে মেয়েদের অন্যতম বড় একটি সমস্যা ওভারিয়ান সিস্ট নিয়ে। সাধারণত এই ওভারিয়ান সিস্ট কেন হয়ে থাকে এই প্রসঙ্গে আমরা আজকে জানবো এবং এই ওভারিয়ান সিস্ট দূর করার উপায় সম্পর্কে জানব। অবশ্যই আপনাদের আমাদের সঙ্গে থেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জানতে হবে যাতে করে আপনারা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারেন।
এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণ। সাধারণত যাদের অতিরিক্ত ওজন আছে তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সমস্যা হয়ে থাকে এবং এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অবশ্যই আপনাকে যে কোন উপায়ে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ওভারিয়ান সিস্টার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজের চিকিৎসক আপনার সাহায্য করতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি নির্দিষ্ট ডায়েট ফলো করেন তাহলে সেটা সত্যিই ভালো।
সাপ্লিমেন্ট অত্যন্ত উপকারী একটি জিনিস এবং ডায়টোমেদ ছড়ানোর পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট হরমোন ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত ভিটামিন ই এবং প্রক্সাসিড অয়েল বা ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি তার মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা গুলো থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
এছাড়াও ইস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণ ওভারিয়ান সিস্টেমের জন্য অনেক বড় একটি পদক্ষেপ। এই হরমোনের পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখন ওভুলেশন অনিয়মিত হয় যার ফলে ওভারিয়ান সিস্ট হয়। শরীরে যাতে ইষ্ট্রোজেন হরমোন এর ব্যালেন্স ঠিক থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যার কারণে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। প্লাস্টিকের বোতল থেকে জল খেলেও শরীরের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়তে পারে তাই ডায়েটে যতটা সম্ভব অর্গানিক মিড ও ডেইরি প্রোডাক্ট রাখুন।
হারবাল কিছু উপায় আছে যেই উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনারা ওভারিয়ান সিস্ট কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। হারবাল এই নিয়মের মাধ্যমে ওভারিয়ান সিএসকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ওভারি সিস্ট কেন হয়
এই সমস্যা সাধারণত যে কারণগুলোর জন্য হয়ে থাকে সেটা সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে ডিম বাসায় এর প্রধান কাজ হল ডিম্বানু তৈরি করা। কিন্তু প্রতিমাসে এই ডিম্বাণু যখন ওভারিতে আসে তখন অভুলেশনের সময় সৃষ্টির মতো দেখতে ফলিকলের সৃষ্টি হয় এবং ডিম্বানু নিঃসরণের পর সেটা চলে যায়। কিন্তু কোন জটিল কারণে যদি সেই প্রক্রিয়া ঠিকঠাক ভাবে সম্পাদন না হয় এবং এই ফলিকলগুলো সঠিকভাবে না
ফিরে যায় যে কোন একটি ফলিকল বা একের অধিক ফলিকল সেখানেই থেকে যায় তখন সেখান থেকে ফিস্ট তৈরি হতে পারে আর এই সৃষ্টি বলা হয়ে থাকে ওভারিয়ান সিস্ট। এজন্য স্বাভাবিক নিয়ম বজায় রাখতে হবে এবং ডিম্বানু যাতে স্বাভাবিক নিয়মে তৈরি হয় এবং স্বাভাবিক নিয়মে চলে যায় এবং প্রক্রিয়াতে কোন বাধা সৃষ্টি না হয় সেই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে সুস্থ জীবন যাপন করতে হবে।
ওভারি সিস্ট হলে কি সমস্যা হয়
মেয়েদের এটা অনেক বড় ধরনের একটি সমস্যা এই সমস্যার কারণে এত জটিল সমস্যা হতে পারে যেখানে অপারেশনের প্রয়োজন করতে পারে। প্রধান যে সমস্যা হয় সেটা হচ্ছে অনিয়মিত মাসিক এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ ও প্রচুর ব্যথা। এর সঙ্গে মেয়েদের আরও বড় ধরনের সমস্যা যেমন গর্ভধারণের সমস্যা অর্থাৎ বন্ধ্যাত্বের সমস্যা তৈরি হতে পারে এই ওভারিয়ান সিস্ট এর কারণে। এছাড়া ওভারিয়ান সিস্ট এর কারণে মেয়েদের অস্বাভাবিক ওজন হ্রাস ও প্রচুর পরিমাণে জল-যন্ত্রণা ব্যথা তৈরি হতে পারে যা নিরাময় করার পরেই তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন। তাই ওভারিয়ান সিস্ট কে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।