আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা মূলত আলোচনা করব কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত এই বিষয়টি নিয়ে। আজকের এই আর্টিকেলটি করে আপনারা জানতে পারবেন কম্বোডিয়ার ভিসার দাম কত এবং কম্বোডিয়াতে কাজের বেতন হিসেবে কত টাকা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমি আপনাদেরকে এই আর্টিকেলটিকে জানিয়ে দেবো কম্বোডিয়াতে কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আগের তুলনায় কর্মীদের চাহিদা কম্বোডিয়াতে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সাথে কম্বোডিয়াতে কাজের ক্ষেত্রে বেতন অনেকটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। গার্মেন্টস বা ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি ভালো বেতন দেয়া হচ্ছে। বিগত কয়েক বছর থেকে কম্বোডিয়াতে কাজের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কাজে নিয়োজিত হয়েছে বিভিন্ন পেশার কর্মী। তার মধ্যে রয়েছে গার্মেন্টস, রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং সহ বিভিন্ন কাজ।
আপনারা অনেকেই কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই কোন দেশে কাজ করতে যাবেন বা কিভাবে যাবেন এই বিষয়ে জানেন না। আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশ সম্পর্কে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে। কম্বোডিয়াতে কাজের জন্য অনেকে যেতে চান আপনারা। মাথায় রেখে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি কম্বোডিয়ার ভিসার দাম সহ কম্বোডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং যদি উপকারে এসে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা শুরু করে দেয়া যাক।
আপনারা যারা কম্বোডিয়াতে ওয়ার্ক ভিসা বা কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তারা বেশ কম খরচের মধ্যেই কম্বোডিয়াতে যেতে পারবেন। চার লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকার মধ্যেই আপনারা ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়াতে যাওয়ার জন্য প্রসেসিং শুরু করতে পারবেন। সরকারিবন্ধিত এজেন্সিগুলো থেকে চার লক্ষ টাকার মধ্যেই আপনারা যাতায়াত খরচ সহ ভিসা প্রসেস করে ফেলতে পারবেন। কম্বোডিয়াতে মূলত কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে এবং সে কারণে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দক্ষ কর্মী সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়াও অন্যান্য কাজের তুলনায় এক্ষেত্রে বেতনটাও একটু বেশি।
কম্বোডিয়াতে কোন কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি সে সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন। কম্বোডিয়াতে সবচেয়ে বেশি কাজের চাহিদা হলো কনস্ট্রাকশনের ক্ষেত্রে। কনস্ট্রাকশন সাইটের বিভিন্ন রকম ভাগ রয়েছে এবং সেগুলোতে প্রচুর লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে কম্বোডিয়া। বিভিন্ন দেশ থেকে কনস্ট্রাকশনের কাজ করতে পারে এমন দক্ষ কর্মী নিয়ে থাকে কম্বোডিয়া।
আপনি যদি কম্বোডিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি মাসে আয় করতে পারবেন ৩০০ ডলার থেকে ৬০০ ডলারের মত। আপনারা হয়তো ভাবছেন আই এমন কম বেশি হবে কেন। দক্ষ কর্মীরা কম্বোডিয়াতে গিয়ে কাজ করে মাসে ৫০০ ডলার থেকে ৬০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। কিন্তু যারা কম দক্ষ কর্মী তারা মাসে ৩০০ ডলার থেকে ৪০০ ডলারের মতন আয় করতে পারবেন।
আপনারা অনেকেই কম্বোডিয়াতে কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে যেতে চান। সে কারণে অনেকে ইন্টারনেটে কম্পিউটার ভিসার খরচ সম্পর্কে জানতে চান। কম্বোডিয়ার ভিসার দাম মূলত নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়াতে যেতে চাচ্ছেন। যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কম্পোডিয়াতে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে তিন লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকার মত। এর মধ্যে ভিসা প্রসেসিং এবং যাতায়াত খরচ পড়বে। বর্তমানে ভিসার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তিন লাখ থাকে 6 লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু আগে আড়াই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং করে কম্বোডিয়াতে যাওয়া যেত। তবে যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি যেখানে কাজ করবেন সেই কোম্পানির সাথে ভালোভাবে কথা বলে নেবেন। কোথায় কিভাবে কি খরচ করতে হবে এবং কত খরচ করতে হবে সে বিষয়ক সমস্ত তথ্য আগে থেকে ভালোভাবে জেনে রাখবেন।
কম্বোডিয়াতে গিয়ে আপনি যত টাকাই আয় করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই খরচের ব্যাপারে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আপনি যদি কম্বোডিয়ায় থাকেন তাহলে আপনার থাকা খাওয়া খরচ পড়বে মাসে ৬০ ডলার থেকে 80 ডলার। আপনার চাহিদা এবং আনুষাঙ্গিক খরচের ওপরে ভিত্তি করে একটু কম বেশি হতে পারে।