নামাজ ফরজ হওয়ার দলিল

প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানবান মুসলমানদের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ একটি ইবাদত। একজন মুসলমান ব্যক্তি কে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় অর্থাৎ মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ফরজ ইবাদত পালন করতে হবে। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মোমিন বান্দারা আপনার পালন কর্তার প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের পরে। তাই একজন মুসলমানের জন্য নামাজের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ এই ইবাদত তাদের ওপর ফরজ।

নামাজ আদায়ের জন্য স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা হুকুম প্রদান করেছেন। কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে তোমরা সঠিক সময়ে নামাজ কায়েম কর এবং যাকাত দাও। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা জেনে নিতে চাই নামাজ ফরজ হওয়ার দলিল। তাই আপনাদের জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দিব‌। আপনারা যারা নামাজ ফরজ হওয়ার দলিল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি সম্পর্কে।

ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী ফরজ নামাজ আদায় করা একজন মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ‌ ইবাদত। কারণ মহান আল্লাহতালা জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তার ইবাদত করার জন্য। আর সেই ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম ইবাদত হল দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ। একজন মুসলমানের জন্য ফরজ নামাজ খুবই মর্যাদা সম্পূর্ণ আমল। তাছাড়া নামাজ মূলত এমন একটি ইবাদত যে ইবাদতের মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান পৃথিবীর সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেন।

নামাজ মূলত এমন একটি ইবাদত যে ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলমান ব্যক্তি মহান আল্লাহতালার সাথে খুব সহজেই সংযোগ স্থাপন করতে পারে। মহান আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার একমাত্র উপায় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করা। আর নামাজের মাধ্যমে একজন মুমিন মুসলমান ব্যক্তি তার মনের সকল চাওয়া পাওয়া মহান আল্লাহ তাআলার কাছে তুলে ধরতে পারেন। তাই পবিত্র কুরআনে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। নামাজ আদায় করা মানে মহান আল্লাহ তালাকে স্মরণ করা। তাই আমরা যে কোন ভালো কাজের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করার জন্য নামাজ আদায় করবো।

মহান আল্লাহতালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এবং তার উম্মতদের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ বাধ্যতামূলক করেছিলেন পবিত্র শবে মেরাজের রাতে। বিভিন্ন হাদিস অনুসারে ২৬ শে রজব দিবাগত রাতে এ ঐতিহাসিক ভ্রমণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাতে আল্লাহ্‌র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সাত আসমান উপরে উত্তোলন করা হয়েছিল। এবং এই রাতে মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তির জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা যা হয়। কিয়ামতের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে ফরজ নামাজ পালন করতে হবে।

মহান আল্লাহতালা মেরাজের রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে ও তার উম্মতের জন্য মূলত দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরবর্তী প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ৫০ ওয়াক্ত থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ নির্ধারিত করে উম্মতের জন্য উপহার স্বরূপ পেশ করেন। আর মানুষের জন্য প্রতিদিন এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। তাই একজন মুসলমান যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করেন। তবে সেই মুসলমান ব্যক্তি ৫০ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সওয়াব পাবেন। মহান আল্লাহতালা নামাজের ওয়াক্ত কমিয়েছেন কিন্তু নেকী কমিয়ে দেয়নি।

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায়ের ব্যাপারে পবিত্র কোরানে স্পষ্ট দলিল রয়েছে। পবিত্র কুরআনে শুধু একবার নয় বেশ কয়েকবার ভাবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের ব্যাপারে। তাই আমরা যদি নামাজ ফরজ হওয়ার স্পষ্ট দলিল সম্পর্কে জেনে নিতে চাই পবিত্র কুরআন থেকে তা জেনে নিতে পারবো। তাছাড়া আপনারা আমাদের এখান থেকে নামাজ ফরজ হওয়ার দলিল সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত ভাবে আপনাদের মাঝে জানিয়ে দিলাম। আশা করি আপনারা আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন নামাজ ফরজ হওয়ার দলিল সম্পর্কে।

Updated: December 24, 2023 — 1:03 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *