তারাবীর নামাজ কত রাকাত

মহান আল্লাহতালার হুকুম অনুযায়ী একজন মুসলমান ব্যক্তিকে ফরজ নামাজ ব্যতীত বেশ কিছু বিশেষ নামাজ আদায় করতে হয়। তাই মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের জন্য প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে পবিত্র মাহে রমজানের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়। প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি কে ফরজ নামাজের পাশাপাশি রমজান মাস আসলে রমজান মাসের রোজার পাশাপাশি রমজানের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজ টি আদায় করতে হয়। তাই রমজান মাস আসলে তারাবির নামাজকে কেন্দ্র করে আমাদের মুসলমানদের মধ্যে তারাবির নামাজ কত রাকাত এটা নিয়ে দ্বিমতের সৃষ্টি হয়।

তাই যে সকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা তারাবির নামাজ কে কেন্দ্র করে যে দ্বিমত রয়েছে আমরা সকল দ্বিমতের অবসান ঘটিয়ে আপনাদের কে জানিয়ে দেব তারাবির নামাজ মূলত কত রাকাত আদায় করতে হয়। তাছাড়া একজন মুসলমান হিসেবে রমজান মাসের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজ কত রাকাত এ বিষয়টি অবশ্যই আমাদের জানতে হবে। তাই আপনারা যারা এই বিষয়টি জানতে আগ্রহী আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন টি পরুন আর জানুন তারাবির নামাজ মূলত কত রাকাত।

প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে রমজান মাসের চাঁদ দেখে তারাবির নামাজ শুরু করতে হয়। আর পরবর্তী মাসের চাঁদ দেখে তারাবির নামাজ শেষ করতে হয়। এখান থেকে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারছি আরবির ১১ মাসের অন্য যে কোন মাসে তারাবির নামাজ আদায় করা যায় না একমাত্র রমজান মাস ছাড়া। তাই আমরা যখন এই নামাজ আদায় করব অবশ্যই সঠিক নিয়ম মেনে আদায় করব। আর তারাবির নামাজ সঠিক নিয়ম মেনে আদায় করতে হলে যে বিষয়টি সর্বপ্রথম আপনাকে আগে জানতে হবে তা হলো তারাবির নামাজ কত রাকাত।

প্রতিটি মুসলমানের জন্য ইবাদতের জন্য শ্রেষ্ঠতম মাস হলো রমজান মাস। তাই এই রমজান মাসকে কেন্দ্র করে প্রতিটি মুসলমান নানান ধরনের ইবাদতে মশগুল থাকেন। একজন মুসলমান হিসেবে রমজান মাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো এই মাসের ফরজ রোজা। আর রোজার পরেই যে ইবাদতের প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে তা হলো রমজান মাসের বিশেষ নামাজ তারাবির নামাজের উপর। কারণ নামাজ মহান আল্লাহতালার কাছে অতি প্রিয় একটি ইবাদত। যে ইবাদতের মাধ্যমে একজন মুসলিম ব্যক্তি আল্লাহ তালাকে খুশি করতে পারেন।

একজন মুসলমান ব্যক্তি কে তারাবির নামাজ আদায় করতে হলে অবশ্যই রমজান মাসের এশার ফরজ ও সুন্নত নামাজ আদায় করার পরে এই নামাজ আদায় করতে পারবেন। এশার নামাজের পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যে কোনো মুহূর্তে তারাবির নামাজ আদায় করা যায়। তবে তারাবির নামাজ টি রাতের শেষ ভাগে পড়াটাই উত্তম। কারণ এই নামাজটি তাহাজ্জুদের নামাজের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তারাবির নামাজটি মূলত রাতের শেষ ভাগে বেশি আদায় করতেন। তবে কেউ চাইলে এশার নামাজের পরে এই নামাজ আদায় করতে পারবেন।

রমজান মাস আসলে বেশির ভাগ মুসলমানদের মধ্যে তারাবির নামাজ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। মূলত তারাবির নামাজ কত রাকাত। তারাবির নামাজ কত রাকাত পড়লে ঠিক হয় ইত্যাদি এসব বিষয়। ইসলামের বিধান অনুযায়ী তারাবির নামাজের নির্দিষ্ট সংখ্যা সম্পর্কে কোথাও উল্লেখ করা নেই। অর্থাৎ তারাবির নামাজ মূলত কত রাকাত তা কোথাও স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। কোন ব্যক্তি তারাবির নামাজ আদায় করতে চাইলে সে ৮ রাকাত, ১২ রাকাত, ২০ রাকাত ৩৬ রাকাত ইত্যাদি আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী আপনি যতটুক পারবেন তারাবির নামাজ আদায় করতে পারবেন।

তারাবির নামাজ এমন একটি নামাজ যেটা দীর্ঘ সময় ধরে আদায় করতে হবে। আপনি যখন রুকু সিজদাতে যাবেন তখন এই নামাজ কে দীর্ঘ করে নিবেন। কোরআনের আয়াত দ্বারা এই নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন অতি তাড়াহুড়া করে অনেক রাকাত নামাজ আদায় করে কোন লাভ নেই। আপনি অল্প পড়ুন কিন্তু ধীর স্থির ভাবে সহীহ শুদ্ধভাবে নামাজ পড়ুন। নামাজ এমন একটি বিষয় আপনি যদি তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করেন সেই নামাজের কোন মূল্য মহান আল্লাহতালার কাছে নেই। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তারাবির নামাজ মূলত কত রাকাত।

Updated: December 22, 2023 — 8:54 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *