ছেলে হোক বা মেয়ে হোক ঠোঁট প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই আকর্ষণীয় একটি জায়গা। যার ঠোঁট যত ভালো সে দেখতে তত আকর্ষণীয়। একজন মানুষের মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তার সুন্দর ঠোঁটের মাধ্যমে। আর সুন্দর ঠোঁট মানেই গোলাপি ঠোঁট। নিজের ঠোঁট গোলাপি করতে চাই না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম রয়েছে। তবে নানান অযত্ন ও অবহেলার কারণে বর্তমানে অনেকের ঠোঁট তেমন একটা সুন্দর নয়। যার কারণে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই বেশ হতাশ। তবে সঠিক ভাবে ঠোঁটের যত্ন নিলে খুব সহজে আপনার ঠোঁট গোলাপী করা সম্ভব।
গোলাপি ঠোঁট খুব সহজে আপনার মুখের সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু বর্তমান সময় অনেকের মুখ সুন্দর হওয়ার পরেও ঠোঁট অনেক কালচে এবং বিবর্ণ বর্ণের। তাই অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জেনে নিতে চাই ঠোঁট গোলাপি করার উপায় গুলো কি সে সম্পর্কে জানতে। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ঠোঁট গোলাপি করার বেশ কিছু সহজ উপায়। আপনারা যারা আপনাদের ঠোঁটের রং নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন আমাদের পুরো আলোচনাটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। আর জেনে নিন কোন উপায়ে কিভাবে ঠোঁট গোলাপি করা যায়।
যে কোনো মানুষের মুখের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে সুন্দর ঠোঁটের মাধ্যমে। আমরা অনেকেই শরীরের এবং ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকি আর ঠোঁটের যত্ন না নিয়ার কারণে আমরা অনেক সময় ঠোঁটের কালচে ভাব নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তাযর মধ্যে পড়ে যায়। তবে একটু যত্নশীল হলেই ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করা সম্ভব। সুন্দর এবং পাউট করে ছবি তোলার জন্য বর্তমান সময়ে সুন্দর ঠোটের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে। আর সুন্দর ঠোঁট মানেই তো গোলাপি ঠোঁট। কিন্তু কোনো প্রকার প্রসাধনী ছাড়া কীভাবে ঠোঁট গোলাপি করা যায় তা অনেকেই বুঝতে পারে না। তাই জানিয়ে দেব ঠোঁট গোলাপি করার উপায়।
ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
অনেকেই অনেক চেষ্টা করার পরেও নিজের ঠোঁট গোলাপি করতে পারেনি। তাই এই বিষয়টি অনেকের কাছে কঠিন বলে মনে হয়েছে। তবে কিছু উপায় জানা থাকলে আপনার ঠোঁট গোলাপি করা কঠিন কিছু নয়। খুব সহজেই আপনি আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করতে পারবেন। তাই আমরা আপনাদের জন্য ঠোঁট গোলাপি করার জন্য বেশ কিছু সহজ উপায় জানিয়ে দেবো। যে উপায় গুলো মানলে আপনি খুব সহজেই আপনার ঠোঁট গোলাপি করতে পারবেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক ঠোঁট গোলাপি করার উপায় গুলো সম্পর্কে।
কাঁচা দুধ
ঠোঁট গোলাপি করার জন্য অন্যতম উপায় হল কাঁচা দুধ। তাই ঠোঁট গোলাপি করার জন্য ঠোঁটের ওপরে কাঁচা দুধ দিয়ে রাখুন। কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন দুধ দেয়ার পরে।তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ঠোটে কাঁচা দুধ লাগান দেখবেন আপনার ঠোঁটের রং অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়ে ঠোঁট গোলাপি হতে শুরু করেছে।
মধু
সাধারণত মধুর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। প্রাকৃতিক ভাবে ঠোঁট গোলাপি করার জন্য মধু বেশ উপকারী একটি উপাদান। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য মধু নিয়ে আপনার ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন। প্রতিদিনের ব্যবহারে মধু আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করে তুলবে।
গোলাপের পাপড়ি ও দুধ
খুব দ্রুত ঠোঁট গোলাপি করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় গোলাপের পাপড়ি ও দুধ। কারণ
দুধের সাথে এটি মেশানো হলে ঠোঁট থেকে কালচে রং দূর করে। এ জন্যে ৫ থেকে ৬ টি পাপড়ি সারারাত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। পরে এটি মিহি করে পেস্টের মতো বানিয়ে প্রতিদিন সকালে ঠোঁটে আলতো করে লাগান। কমপক্ষে দশ দিন ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য।
লেবুর রস
ত্বকের যে কোনো দাগ দূর করার জন্য লেবুর রস খুব কার্যকরী। তাই লেবুর রস নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচে ভাব দ্রুত দূর করে। তাই এক টুকরা লেবু নিয়ে ঠোঁটে নিয়মিত ঘষলে ঠোঁটের কালচে ভাব দূর হয়ে ঠোঁট গোলাপি হতে শুরু করে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। অনেকেই ত্বকের অনেক সমস্যার কারণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে। আর ঠোঁট গোলাপি করার জন্য অলিভ অয়েল বেশ কার্যকরী একটি উপাদান। তাই যারা ঠোঁট গোলাপি করতে চান নিয়মিত অলিভ অয়েল তেল ঠোঁটে দিয়ে রাখুন।