হাদিসকে মূলত ইসলাম ধর্মের মেরুদন্ড বলা হয়। হাদিস মূলত এমন একটি বিষয় যেটা পবিত্র আল কুরআনের ব্যখ্যা স্বরূপ হিসেবে ধরা হয়। তাই একজন মুসলমান ব্যক্তিকে শুধু হাদিস পড়লেই হবে না। হাদিস পড়ার আগে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তির মৌলিক কিছু জ্ঞান থাকা লাগবে। তা না হলে হাদিস পড়ে কোন ধরনের জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। হাদিস বলতে আমরা নবী করীম (সা:) এর কথাকেই বুঝি। কারণ তার কথা সব চাইতে অর্থবহ ও সর্বোত্তম কথা। হাদিস মুলত এমন একটি বিষয় সব বিষয় ব্যাখ্যা রয়েছে।
ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিষয়ে সুনিদিষ্ট কিছু পরিচয় রয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি হাদিসেরই বেশ কিছু পরিচয় রয়েছে। যেখান থেকে একজন ঈমানদার ব্যক্তি হাদিস সম্পর্কে বুঝতে পারে। তাছাড়া আমাদের মধ্যে এমন অনেক মুসলিম ভাই ও বোন রয়েছে যারা হাদিসের পরিচয় পিডিএফ পেতে চাই। তাই আমরা তাদের জন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলতে বিভিন্ন হাদিসের পরিচয় পিডিএফ তুলে ধরবো। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিতে আগ্রহী আমাদের আজকের আর্টিকেলটি সঙ্গে থাকুন আর সংগ্রহ করে নিন হাদিসের পিডিএফ গুলো।
হাদিসকে মূলত কুরআন মাজীদের জীবন্ত ব্যাখা হিসেবে বলা হয়। ইসলাম ধর্মে হাদিসের গুরুত্ব অপারিসীম। আল্লাহর বাণী আল-কুরআন ইসলামের একটি কাঠামো উপস্থাপন করে। আর রাসূলের হাদীস সেই কাঠামোর উপর একটি পূর্ণাঙ্গ ইমারত গড়ে তোলে। তাই ইসলামী জীবন বিধানে পবিত্র কুরআনের পরই রাসূলের হাদীসের স্থান। পবিত্র কুরআনে রাসুল সাঃ এর জীবন সম্পর্কে পরিপূর্ণ কোন আলোচনা করা হয়নি। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে একজন মুসলমান ব্যক্তি খুব সহজেই মহান আল্লাহতালার প্রতিটি ইবাদত কিভাবে করতে হবে কোন নিয়মে করতে হবে কোন দিনে করতে হবে সব তথ্য বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
আমাদের মধ্যে এমন অনেক মুসলমান রয়েছে যারা হাদিসের পরিচয় সম্পর্কে তেমন ধারণের নেই। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদেরকে হাদিসের সঙ্গে পরিচয় থাকা প্রয়োজন আর। তাই আল্লাহ্র রাসূল হিসাবে যা কিছু বলেছেন, যা কিছু করেছেন এবং যা কিছু বলার বা করার অনুমুতি দিয়েছেন অথবা সমর্থন জানিয়েছেন তাঁকে হাদীস হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এর সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সঃ) সম্পর্কিত বর্ণনা ও তাঁর গুণাবলী সম্পর্কিত বিবরণকেও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেন। এ হিসেবে হাদীসকে প্রাথমিক পর্যায়ে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায় হয় কাওলী হাদীস, ফেলী হাদীস ও তাকরীরী হাদীস।
আমরা যদি এই তিন হাদিসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারি তাহলে সব ধরনের হাদিসের সঙ্গে একটি প্রাথমিক জ্ঞান হবে।কোন বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ) যা বলেছেন যে হাদীসে তাঁর কোন কথা বিধৃত হয়েছে তাঁকে কাওলী হাদীস বলা হয়। দ্বিতীয়ত, মহানবী (সঃ)-এর কাজকর্ম, চরিত্র ও আচার আচারণের ভেতর দিয়েই ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান ও রীতিনীতি পরিস্ফুট হয়েছে। অতএব যে হাদীসে তাঁর কোন কাজের বিবরণ উল্লেখিত হয়েছে তাঁকে ফেলী হাদীস বলা হয়। যে সব কথা বা কাজ নবী করীম (সঃ) এর অনুমোদন ও সমর্থন প্রাপ্ত সে ধরনের কোন কথা বা কাজের বিবরণ কে তাকরীরী হাদীস বলে।
একজন ঈমানদার মুমিন মুসলমান ব্যক্তি হতে হলে আমাদের প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে হাদীস সম্পর্কে বা হাদিসের প্রাথমিক জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা হাদিসের পরিচয় সম্পর্কে জানেনা। একজন ঈমানদার ব্যক্তিকে কুরআন যতটুক গুরুত্ব দিতে হবে তার পরিপ্রেক্ষিতে হাদিস কেউ সেই পরিমাণ গুরুত্ব দিতে হবে কারণ কুরআনের পরিপূর্ণ রূপ হিসেবে হাদিসকে ধরা হয়। তাই আমরা হাদিস সম্পর্কে জানবো এবং সেই মোতাবেক মহান আল্লাহ তাআলার প্রতিটি ইবাদতে শামিল হব।
আপনারা অনেকেই জেনে রাখতে চান বা জানতে আগ্রহী হাদিসের পরিচয় pdf। তাই তাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে হাদিসের বিভিন্ন পরিচয় পিডিএফ ফাইল আকারে দিয়ে দিলাম। আপনারা যে কোন সময় যে কোন জায়গায় থেকে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে হাদিসের যে কোন পরিচয়ের পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন। আর এটা সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে হবে আর সংগ্রহ করতে হবে হাদিস পরিচয়ের বিভিন্ন পিডিএফ।