এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে বিশেষ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন। শুধু দুনিয়াতে আনন্দ-ফূর্তিতে মেতে থাকা, অথবা খেয়ে-পরে বেঁচে থাকা বা পশুর মতো বংশ বৃদ্ধি করে দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে পাঠানো হয়নি। বরং মহান আল্লাহ তায়ালা মহৎ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। মহান আল্লাহতালা তার পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন আমি জিন এবং মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য। এবং আমার সন্তুষ্টির জন্য যা করা দরকার তা আমি বলেছি কুরআনের মাধ্যমে।
আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় অনেক সময় অনেক কারণে হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু এই হতাশ থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হল কুরআন পড়া। তাছাড়া আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান রয়েছে যারা একটি বিষয় সম্পর্কে জানে না কুরআনে এমন অনেক মোটিভেশনাল আয়াত রয়েছে যে গুলো পাঠ করলে আপনি পুনরায় নিজেকে আগের অবস্থানে ফেরাতে পারবেন। তাই যারা কুরআনের মোটিভেশনাল আয়াতগুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আমরা আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আলোচনাটি তে কুরআনের মোটিভেশনাল আয়াত গুলো তুলে ধরবো।
যারা হতাশ এবং দুর্বল ব্যক্তি কুরআনের প্রতিটি আয়াত তাদের জন্য এক একটি আশার আলো। তাছাড়া জ্ঞানী যারা একটি বিষয় জানে তা হল জীবন মানেই সংগ্রাম। আর সংগ্রাম করেই প্রতিটি মানুষকে বেঁচে থাকতে হয়। তাই আজ আমরা কোরানের এমন কিছু আয়াত শিখবো যা আপনার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই আয়াত গুলো আপনার আত্ববিশ্বাস ফিরেয়ে দিতে সক্ষম। অনেক সময় আমারা মনে করি, বেঁচে থাকতে এত কষ্ট কেন। আমরা ইতি মধ্যেই জেনেছি জীবন মানে লড়াই। আর আমাদের দুনিয়াতে এমনভাবে পাঠানো হয়েছে লড়াই করে বাঁচার জন্য।
তাই পবিত্র কুরআনের সূরা মুল্লুকের দুই নম্বর আয়াতে স্পষ্ট ভাবে মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন তোমাদের মধ্যে সৎকর্মে কে বেশি উত্তম তা পরীক্ষা করার জন্যেই তিনি জীবন ও মৃত্যুর ব্যবস্থা করেছেন।তাই আমরা যে কাজই করি তা সবচেয়ে সুন্দর উপায়ে হওয়া উচিত। আল্লাহর দেখানো পথে কাজ সমাপ্ত করতে পারলে পুরস্কার হিসেবে অকল্পনীয় সুন্দর জান্নাত আল্লাহ আমাদের দেবেন। তার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার উপর আমাদেরকে ভরসা করতে হবে এবং মহান আল্লাহতালা আমাদের ওপর যে ইবাদত গুলো দিয়েছেন তা সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ রয়েছে কুরআনের অনেক আয়াতে।
পবিত্র কোরআনে অনেক মোটিভেশনাল আয়াত রয়েছে তবে আপনারা যারা এ আয়াতগুলো জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছেন আমরা তাদের জন্য বাছাই কৃত বেশ কিছু আয়াত আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বান্দা যতক্ষণ মহান আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, আল্লাহ কখনো তাদের উপর শাস্তি দেবেন না। তাই এ আয়াত দ্বারা বুঝতে পারি, বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সে কোনো গুরুতর বিপদে দেবেন না। সকল মুহূর্তের জন্য আল্লাহ তার সহায় হয়ে থাকবে। তাছাড়া মহান আল্লাহতালার সৃষ্টির সেরা হল মানব জাতি।
কুরআনে আয়াতে বলা হয়েছে মানুষের জীবনে সব সময় দুঃখ কষ্ট থাকবে না এক সময় দুঃখ কষ্ট থাকবে আর এক সময় সুখ থাকবে আর এই দুটো নিয়েই মানুষের জীবন। জীবনে যেমন দুঃখ আছে, তেমনি সুখও আছে। কষ্টের পাশাপাশি স্বস্তিরও অনেক মুহূর্ত আসবে। আরো বলা হয়েছে কোন ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তি যদি সৎ নিয়তে কোন কাজ করে থাকে তাহলে তার পরিশ্রম কখনোই বৃথা যাবে না। যত ছোট কাজই হোক না কেন তার প্রতিদান সে পাবে। সুতরাং তার হতাশার কোনো কারণ নেই।
মহান আল্লহতালা তার কোন বান্দাকে তার রহমত হতে নিরাশ হতে দেয় না। আল্লাহর কাছে যদি সঠিকভাবে কেউ ক্ষমা চাইতে পারে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে তাকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে দেন। আপনারা যারা কোরআনের মোটিভেশনাল আয়াত সম্পর্কে জেনে নিতে চেয়েছিলেন আমাদের আজকের আলোচনাটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারন আমরা আপনাদের জন্য আমাদের এখানে বেশ কিছু কোরআনের মোটিভেশনাল এর আয়াত সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছি। যেটা প্রতিটি মুসলমানের জেনে থাকা জরুরী।