রাত নিয়ে উক্তি

দিনের শেষে যখন সূর্য ডুবে আঁধার ঘনিয়ে আসে তখন তাকে রাত বলে। রাত যদি না থাকতো তাহলে আমরা দিনের সুখ অনুভব করতে পারতাম না । আবার যদি দিন না থাকতো তাহলে রাতের সুখ আমরা কখনোই অনুভব করতে পারতাম না । তাই একে অপরের পরিপূরক। রাত ও দিনের পৃথিবীর বুকে যখন রাত নেমে আসে তখন জীব যেন বিশ্রামের আশ্রয় নেয় এবং রাতের বেলায় সকল জীব আশ্রয়ের কোলে ফিরে আসে ।

বিশ্রামের প্রশ্বাস ফেলে সকল সকল জীব। রাতের বেলায় বিশ্রাম করে আর প্রত্যেকটি জীবের বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। দিনের বেলায় সকল জীব যখন পরিশ্রম করে বেড়াই খাদ্যের জন্য। জীবের খাদ্যের জন্য তারা সারাদিন নিজের খাদ্য তৈরি করতে প্রস্তুত থাকে । আর রাতের বেলায় তারা আশ্রয় ও বিশ্রামের কোলে ফিরে আসে যখন।

তারা আরামের আশ্রয় পায় বিশ্রাম নিতে নিতে রাতের কোলে তারা ঘুমিয়ে পড়ে মহান সুখ ও শান্তির কোলে। যখন আমরা সাহিত্যের ভাষায় রাত্রে দেখি উনি যেন এক অপূর্ব মায়াময় সৌন্দর্য উপভোগ করি । সেই সৌন্দর্য যেন আমরা কোনদিন ভুলিতে না পারি রাতের সৌন্দর্য আমাদেরকে মুগ্ধ করে তোলে । রাতের আকাশে যেন চমৎকার এক আবির্ভূত মনে হয়।

মেঘমুক্ত রাতের আকাশের দিকে তাকালে আমরা সন্ধ্যায় সন্ধ্যাতারা দেখতে পাই । আকাশ ভরা অজস্র মায়াময় তারারে যেন ঝলকানো ফুটে উঠে সমস্ত আকাশ জুড়ে । অজস্র তারার মেলা। আমরা দেখতে পাই এগুলো দেখে কবি সাহিত্যিকরা মুগ্ধ হয়ে তারা কবিতা লেখে । সাহিত্য রচনা করে উপন্যাস রচনা করে এবং মহাকাব্য রচনা রচনা করে থাকি এবং এগুলো যখন আমরা পাঠকরা পড়ে থাকি ।

তখন যেন সেই মায়া ভরা আকাশের বুকে আকাশ ভরা চন্দ্র তারা বিশ্বভরা প্রাণ। রবীন্দ্রনাথের এই গানের লাইন থেকে যেন আমরা মুগ্ধ হয়ে যায় । চাঁদের মায়ামায় জোছনায় আমরা যেন মুগ্ধ হয়ে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে। দেখতে থাকি হাজারে হাজার তারার মাঝে একটি চাঁদ যেন মায়াবী মুখের হাসি । আমাদের বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে আসমানে চলে এসো। যাদের মায়া ভরা দিনে আমরা মুগ্ধ হয়ে দেখি।

সেই নিষ্প্রাণ হাসি, সেই মনির মুখের চন্দ্র হাসি । আমরা যেন বারবার আয় আয় চাঁদ মামা আয় আয়রে চাঁদের কপালে চাচি দিয়ে যায় আয় আয় চাঁদ মামা চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ টিপ দিয়ে যা । ধান কুটনে বড় দিব চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা । এরকম আজও ছিল খোকা ভোলানো ছড়া কবিরা লিখে গেছেন।

  • রাতের অন্ধকারই জীবনের শেষ কথা নয়;
    প্রতিদিন ওঠে নতুন সূর্য
    প্রতিদিন আসে ভোর
    ভোরের আলোর ছটা রাতের কালিমা মুছে দিয়ে নতুন পথ দেখায়।
  • রাতের আকাশে তুমি মোর শুকতারা
    মনকে করেছো তুমি চঞ্চল
    বিহ্বল দিশাহারা।
  • জীবনটাকে কেঁদে ভাসিয়ে কি লাভ? তাকে তুমি হেসে উড়িয়ে দাও ।
    রাতের বেদনাকে সঙ্গে নিয়ে চলো না,
    ভোরের আলো ফুটবে, সব কালিমা মুছবে।
  • প্রত্যেকেরই জীবনেই একটি অন্ধকার রাত আছে, যা নীরবে নিভৃতে থেকে যায় চিরকাল।
  • একাকী রাতের সব থেকে প্রিয় সঙ্গী ঐ এক ফালি চাঁদ!
  • তুমি যদি হও চাঁদ
    আমি জোছনা ভরা রাত হয়ে,
    জীবন আকাশে সুখে থাকব।
  • তুমি রাত হলে বেশ ভালো হত
    আমি তারা হয়ে জেগে থাকতাম
  • রজনীগন্ধা ফুটেছিল সেই রাতে
    তুমি ও যে ছিলে মোর সাথে ।
  • আঁধার রাতে তুমি এলে ওগো বন্ধু আমার,
    রেখো তোমার হাত আমার হাতে,
    আমি নির্ভর ,নির্ভয় হাতের স্পর্শ পেয়ে তোমার।
  • নিশীথ গভীর রাত মানুষের চিন্তাশক্তির উদ্ভাবক।
  • রাত দিনের বেলা থেকে অনেক বেশি পবিত্র; ভাবনা, ভালোবাসা ও স্বপ্ন দেখার জন্য এটি একটি উপযুক্ত সময়।রাত হল গভীরতা ও সততার বাহক।
  • রাত মানুষের জীবনের অর্ধাংশ জুড়ে রয়েছে।
  • এমন কোনো রাত্রি নেই ;নেই এমন কোনও হতাশা যা সূর্যোদয় এবং মানুষের আশাকে প্রতিহত করতে পারে।
  • একটি অন্ধকার রাত্রির শতসহস্র আঁখি থাকে।
  • রাতেরবেলা আমরা সকলেই অপরিচিত, এমনকি নিজের কাছেও।
  • রাতের ঘটনাগুলিকে দিনের বেলায় বোঝানো সম্ভব নয় ,কারণ বাস্তবে তার অস্তিত্ব থাকে না।

শিশুরা আজও শিশুর কপালে চাঁদ দেখেছি মায়েরা যেন সেই চাঁদনী ভরা রাতেই খোকা কান্নাকাটি করলে তার কপালে চাঁদের টিপ দিয়ে থাকে। এটা যেন এক পল্লী গায়ের রাতের বর্ণনা। পল্লী গাও ভুলি এক রাতের বর্ণনা । যখন আঙ্গিনাতে মাদুর বিছিয়ে আমরা কেতাব পড়তাম সে কি মধুর সুরের কেতাব হারকিনের আলোতে পাড়ার সমস্ত লোক এসে এক জায় গলাগলি করে বসত ।

আর একজন কবিতা পাঠক তিনি সুরে সুরে আমাদেরকে কিতাব পড়ে বলতেন । আর মাঝে মধ্যে পুঁথি পাঠেরও আসর বসতো ঘরে ঘরে। কি মধুর সুরে সেই সব পুঁথি পাঠে আসর। যেন আজও আমার কানে বাজে । আজও যেন আমি চোখের সামনে দেখতে পাই সেই সব রাতের ঘটনা । কি সুন্দর মধু ভরা মায়া ভরা রাত চলে গেছে আমার জীবন থেকে। সেই শিশুকালের ঘটনা আর কি কোনদিনই ফিরে পাবো।

সেই মধু ভরা রাতের গল্প আর কি ফিরে পাব। কোনদিন সেই মধু ভরা কেতাবের সুর আর কি সেই মানুষটিকে ফিরে পাবো। আমরা যে মানুষটি হারিয়ে গায়ের লোককে শোনাতে কোনদিন তাকে আর ফিরে পাবো না সেই কবিতার সুর। ফিরে পাবোনা সেই কবিতা কিতাবের সুমধুর সুর। ফিরে পাবোনা সেই পুথি পাঠের আসর। কোথায় যেন আজ কোন কালের গহবরে হারিয়ে গেছে । হারিয়ে যেন পাবোনা ফিরে সবকিছু যেন রাতের আধারে রাতের আধারে বিলীন হয়ে গেছে।

Updated: February 3, 2024 — 3:51 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *