ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত

এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রতিটি মানুষ তার ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন। প্রতিটি মানুষ সৌভাগ্যবান হতে চাই। তাই ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের অনেক কাজ করে থাকে। ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য প্রতিনিয়ত মানুষ জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলেছে। তবে মহান আল্লাহতালার পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআনে ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত রয়েছে। যে আয়াতের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে।

তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কোরআনের আয়াত গুলো সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আর তাই অনেকেই আমরা অনলাইনের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করছি ভাগ্য পরিবর্তন সম্পর্কে কুরআনের আয়াতে কি বলা হয়েছে বা কোন কাজগুলো করলে ভাগ্য পরিবর্তন করা যায়। আপনারা যারা এই বিষয়টি জানতে আগ্রহী আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ভাগ্য পরিবর্তন নিয়ে কুরআনে থাকা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত। চলুন তাহলে দেরি না করে জানা যাক এই আয়াতগুলো সম্পর্কে।

ইসলামের বিধান মোতাবেক ভাগ্য এমন একটি জিনিস ভাগ্যে বিশ্বাস করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। আর ভাগ্যে বিশ্বাস করার অর্থ হলো, এটা বিশ্বাস করা যে জীবনের ভালো ও মন্দ, আনন্দ ও দুঃখ, জীবিকা ও সম্পদ, জীবন ও মৃত্যু ইত্যাদি সকল বিষয় আল্লাহ কর্তৃক দ্বারা নির্ধারিত। তবে একটি বিষয় অবশ্যই আমাদেরকে মানতে হবে আপনি যদি পরিশ্রম না করেন তাহলে কখনোই আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। কারণ আপনি যদি অলসভাবে বসে থাকেন তাহলে আল্লাহতালা আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে না। তার জন্য কাজ করতে হবে।

কুরআনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত রয়েছে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ আয়াত গুলোর মধ্যে ভাগ্য পরিবর্তনের আয়াত একটি। তবে কোরআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যে আয়াতগুলো আমাদের প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে জানতে হবে। কারন এই আয়াতগুলো থেকে আমরা অনেক বিষয়ে জানতে পারি কারণ কুরআনের প্রতিটি আয়াত কোন না কোন বিষয়ে বলা হয়েছে। ভাগ্য সম্পর্কে মানুষ ততটুকু জানে, যতটুকু আল্লাহ কোরআন ও তাঁর নবীর মাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে হাদিস ও কোরআনের আয়াত এর মাধ্যমে
ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে।

মানুষের ভাগ্য ভালো কি খারাপ সে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন মহান আল্লাহতালা। কারণ মহান আল্লাহতালা মানুষের ভাগ্য ভালো কি মন্দ এ বিষয়টি নির্ধারণ করেছেন। কারণ মহান আল্লাহতালা একজন মানুষের জন্য যা কিছু নির্ধারণ করে রেখেছে অবশ্যই যেকোন উপায়ে তা বাস্তবায়ন হবে। এমনটাই বলা হয়েছে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের মাধ্যমে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অবস্থায় একজন মানুষের ভাগ্যে যা ঘটে এটা মূলত পূর্ব থেকে নির্ধারণ করে রেখেছে মহান আল্লাহতালা। তাই ভাগ্যে ভালো মন্দ যাই ঘটুক না কেন তা মেনে নিতে হবে। এটা নিয়ে কোনোভাবে আফসোস করা যাবে না।

এই পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে আল্লাহর ইচ্ছা ও পরিকল্পনা অনুযায়ীই সব কিছু সংঘটিত হয়। তাই আল্লাহতালা মমিন বান্দাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট ভাবে বলেছেন ভাগ্যের ভালো ও মন্দের ব্যাপারে মুমিনরা যেন সন্তুষ্ট থাকে। কখনো তাকে অপছন্দের কোনো বিষয় স্পর্শ করলেও সে তা নিয়ে যেন অসন্তোষ প্রকাশ না করে। কারণ আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো মুমিন বান্দাদের জন্য মহান আল্লাহতালার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন তাকে তাই মেনে নিতে হবে। একজন মুমিন বান্দার বৈশিষ্ট্য কোনভাবেই কোন কিছু নিয়ে আল্লাহর প্রতি অখুশি হওয়া যাবেনা।

তবে কুরআনের একটি আয়াতে বলা হয়েছে নিশ্চয় আল্লাহ কোন জাতির ভাগ্য ততক্ষণ পর্যন্ত পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে। এই আয়াতের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি যে নিজেরা চেষ্টা করলে ভাগ্য পরিবর্তন হতে পারে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে আপনি যে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করবেন, মহান আল্লাহ এটাও জানেন। তাই তিনি আপনার এই ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টাকে আপনার ভাগ্যতে আগেই লিখে দিয়েছেন। তাছাড়া কর্মের মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয় এটা মাথায় রাখতে হবে।

Updated: December 20, 2023 — 10:29 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *