সৌদি মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ 2024

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ইসলামিক দেশ হলো সৌদি আরব। প্রতিটি মুসলিম এর স্বপ্ন যে সৌদি আরবে হজ করবে। মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণ করে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করব যদি জীবনে একবার হলেও সৌদি আরবে যেতে পারি। যারা সৌদি আরবে জন্মগ্রহণ করে তারা মুসলিম হিসেবে ধন্য। আল্লাহর এই অশেষ কৃপায় মুসলিমরা সৌদি আরবের বাসিন্দা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুসলিম শহর পৃথিবীর সমস্ত দেশের মুসলিমরাই সৌদি আরব সম্পর্কে বিভিন্ন কিছু জানতে চাই। সৌদি আরব সম্পর্কে যেকোনো ধরনের তথ্য জানতে চাইলে আমরা আপনাদের সকল ধরনের তথ্য প্রদান করে সেবা দিতে পারি।

অনেক বাংলাদেশী বন্ধুরা তাদের কন্যা সন্তানের জন্য নাম নির্বাচনের সময় সৌদি আরবের মেয়েদের নাম সম্পর্কে জানতে চাই। অনেকে সৌদি আরবের মেয়েদের মত নাম ডাকতে চাই নিজের কন্যা সন্তানের জন্য। এগুলো প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়বেন। আসলে ইসলামিক নাম গুলো সকল দেশেই একই রকম হয়ে থাকে। ভাষাগত পার্থক্যের কারণে উচ্চারণগত পার্থক্য দেখা যায়। শাব্দিক অর্থে ইসলামিক নাম গুলো সকল দেশে একই রকম হয়ে থাকে।

সৌদি আরব একটি মুসলিম রাষ্ট্র। সৌদি আরবের প্রধান রাষ্ট্রপতি আরবি। সৌদি আরবে উর্দু ভাষার ও প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে সৌদি আরবে উর্দু এবং হিন্দি মিশ্র ভাষায় কথা বলা হয়। সৌদি আরবের মেয়েদের জীবনযাপন সম্পূর্ণ রূপে ইসলামী অনুশাসনে অতিবাহিত হয়। কিন্তু বর্তমানের আধুনিক বিশ্বে সৌদি মেয়েরাও অনেক আধুনিক। তারা ইসলামী নারীদের মতো পর্দাশালী জীবন যাপন কাটায় না। সৌদি আরবের অনেক মেয়ে আছে যারা পশ্চিমা কালচারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সৌদি আরবের মেয়েদের আচার-আচরণ ও চলাফেরা সম্পর্কে জানতে চাইলেও আপনারা জেনে নিতে পারেন।

কিন্তু সৌদি আরব দেশটিতে ১০০% মুসলিমদের বাস। তাই সৌদি মেয়েদের নামগুলো নিঃসন্দেহে ইসলামিক এবং আরবি নাম। মুসলিম মেয়েদের নাম অধিকাংশ আরবি নাম হয়ে থাকে। সৌদি আরবে মেয়েদের নাম কোরআন শরীফ দেখে আরবি নামকরণ করা হয়। মুসলিম হিসেবে আমরা সকলেই চাই একটি আরবি নামকরণ করতে। আমরা যারা মুসলিম এবং আমাদের যাদের আরবি ইসলামিক নাম আমরা গর্ববোধ করি এই আরবি ইসলামিক নাম নিয়ে।

বর্তমানে আমাদের সব কিছুতেই লেটেস্ট এবং আপডেট চাই। জামা -কাপড় ,খাওয়া -দাওয়া থেকে শুরু করে নামের ক্ষেত্রে আমরা আপডেট নাম গুলোই চেয়ে থাকি। অনেকে প্রশ্ন করে
আধুনিক এবং ইসলামিক নাম সম্পর্কে। আধুনিক এই বিশ্বে আমরা আমাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করার সাথে সাথে আধুনিকতাই বেড়ে উঠতে চায়। কারণ আধুনিকতা না থাকলে বর্তমান বিশ্ব টিকে থাকা কষ্টকর। আমরা সবকিছু লেটেস্ট পছন্দ করি। শিশুর নাম নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমরা লেটেস্ট নামগুলোকেই বেশি প্রাধান্য দেই। আজ আমরা সৌদি আরবের মেয়েদের লেটেস্ট জনপ্রিয় নাম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।

যেহেতু সৌদি আরব সম্পূর্ণরূপে একটি শুদ্ধ মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে রাষ্ট্রভাষা আরবি। সৌদি আরবে পবিত্র কোরআন শরীফ সম্পর্কে শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। সে দেশে শিশুদের প্রধান এবং প্রথম জ্ঞান অর্জন হল কোরআন শরীফ সম্পর্কে। সৌদি আরবে মেয়েদের নাম আগেকার যুগে অনেক সেকেলে এবং পুরনো নাম হত। বর্তমানে সেগুলোর নাম আমাদের পছন্দ নাও হতে পারে।

কারণ অতিরিক্ত আরবি শব্দ প্রয়োগ করে নাম নির্বাচন করা হতো সৌদি আরবের মেয়েদের। কিন্তু এখন যদি আপনি সৌদি আরবের মেয়েদের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে বুঝতে পারবেন তারা কতটা আপডেট। এখন তারাও আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাহলে তাল মিলিয়ে ওয়েস্টার্ন কালচারকে আপন করে নিয়েছে। সৌদি আরবের মেয়েরা যে অনেকাংশেই ওয়েস্টার্ন কালচারকে আয়ত্ত করতে পেরেছেন সেটা তাদের আচার-আচরণ এবং একটিভিটি দেখলেই বোঝা যায়।

তাই বর্তমান ২০২৩ সালের সৌদি আরবের মেয়েদের নামের কিছু উদাহরণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
চলুন দেখে নিই বর্তমানে সৌদি আরবের মেয়েদের কি ধরনের নামে নামকরণ করা হয়।
সুরাইয়া ,আলিয়া, কারিনা ,সাদিয়া, খাদিজা
সোনিয়া ,আরোহী ,রুহি ,রুহানিকা ,নাতাশা
তামান্না, খোয়াইশ, কারিশমা, রোকসানা,
নেহা, ফিলিংস, কিরাজ, তুলাই,
রুবিনা ,জেসমিন ,ইয়াসমিন,
রোশনি ,আনিকা ,আনিতা, ইত্যাদি।

এই নামগুলো আধুনিক সৌদি আরবের মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। নামগুলি বাঙালি মুসলিম মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

Updated: January 25, 2024 — 11:00 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *