চুইঝাল দেখতে অনেকটা পান পাতার মত। চুই ঝালের গাছ দেখতেও অনেকটা পান গাছের মতোই। এর পাতায় মূলত কোন ধরনের জাল থাকে না তবুও এটার নাম চুই ঝাল হিসেবেই আমরা জানি। বর্তমানে বিভিন্ন রান্নায় এই চুই ঝাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মূলত এই চুই ঝাল গাছের কান্ড ব্যবহার করা হয়ে থাকে মাংসের মসলা হিসেবে।
দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ মূলত রান্নার কাজে এই চুই ঝাল নামক মসলাটি ব্যবহার করে থাকেন। এই অঞ্চলের মানুষদের কাছে মশলা হিসেবে এই চুই ঝালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দিন যাওয়ার সাথে সাথে দক্ষিণাঞ্চল সহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই চুই ঝালের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আপনারা অনেকেই ইন্টারনেটে চুই ঝালের দাম বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে কত এই সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। তাই আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলটি আমি সাজিয়েছি মূলত বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে চুই ঝালের দাম কত সে সম্পর্কিত তথ্য গুলো নিয়ে। আপনাদেরকে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি জানিয়ে দেবো বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে চুই ঝালের দাম কত।
আপনারা যারা মানুষের মসলা হিসেবে চুই ঝাল কিনতে চাচ্ছেন এবং এর দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে যাবেন। তাহলে খুব সহজেই জানতে পারবেন বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে এই চুই ঝালের দাম কত। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি
আপনাদের অনেক উপকারে আসবে এবং পরবর্তীতে এই তথ্য কাজে লাগিয়ে আপনি সঠিক দামে এই জিনিসটি কিনতে পারবেন বাজার থেকে। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন দাম সংক্রান্ত তথ্য জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে নিয়মিত ভিজিট করবেন।
বর্তমানে এমন মানুষ হয়তো খুব কমই পাওয়া যাবে যার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষেরই মোটামুটি প্রাথমিক অবস্থা থেকে গুরুতর পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে চুই ঝাল বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যারা নিয়মিত এই জিনিসটি খাবারের সাথে খেয়ে থাকেন তাদের অনেকেরই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এই চুই ঝাল অনেকের কাছে ভেষজ এবং ওষুধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। মূলত এই গাছটি বেশিরভাগই দেখা যায় বন্য অঞ্চলে। বনের বিভিন্ন অংশে আপনি এই গাছ দেখতে পাবেন।
বিভিন্ন রকমের চুই ঝাল বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো গোল হল কান্ডের মোটা অংশ। এগুলো দেখতে মূলত কাঠের মত হলেও রান্না হওয়ার পর এটি বেশ নরম হয়ে যায়। চুইঝাল মূলত তরকারিতে দেয়া হয় কান্ডের ছাল ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে।
এটি শুধুমাত্র মসলা নয় বরং ভেষজ ওষুধ। এই গাছের শিকড়, কান্ড, পাতা, ফুল, ফল সবগুলো অংশই ঔষধি গুণসম্পন্ন। অর্থাৎ সম্পূর্ণ গাছটি আপনার উপকারে আসবে। সাধারণত এটি খাওয়া হয় মাংস দিয়ে। তবে আপনি এই মসলাটি মাছ, ভুড়ি, সবজি এবং ছোলা বুট রান্নাতেও ব্যবহার করতে পারবেন।
এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং উপকারী একটি গাছ হওয়ার কারণে বর্তমানে এই গাছের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চল বাদে অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ ও নিয়মিত চুইঝাল খাওয়া শুরু করেছেন। তাই আপনারা যারা নিয়মিত এই জিনিসটি খেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই জিনিসের সঠিক গান জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি সঠিক দাম জেনে তারপর বাজারে এই জিনিসটা কিনতে যান তাহলে আপনার থাকার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে। দাম সম্পর্কে যদি ধারণা না থাকে তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি বেশি দামে এই চুই ঝাল কিনে ঠকতে পারেন। কারণ বর্তমানে এমনিতেই চুইঝালের দাম অনেকটা বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় অনেক অসাধু ব্যবসায়ী এর দাম আরো বেশি করে রাখছে।
চুই ঝালের দাম মূলত নির্ভর করে এর কোয়ালিটির ওপর। ভালো কোয়ালিটির চুই ঝাল কিনতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে। একটু খারাপ কোয়ালিটির চুই ঝাল আপনি কম দামে কিনতে পারবেন। মূলত আপনি বাজারে দুই ধরনের চুই ঝাল পাবেন।
একটি হলো কাঁচা চুই ঝাল এবং আরেকটি হল শুকনা চুই ঝাল। বাজারে আপনি যদি কাঁচা চুই ঝাল কিনতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে খরচ করতে হবে ১১০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মতো প্রতি কেজিতে। আর আপনি যদি শুকিয়ে রাখা চুইঝাল বাজার থেকে কিনতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতি কেজিতে খরচ করতে হবে ১৫০০ টাকা থেকে ৪৫০০ টাকার মধ্যে।