প্রতিটি মানবদেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সমস্যা হলো গুড়া কৃমি। গুড়া কৃমি সাধারণত আমাদের শরীরকে নানা দিক দিয়ে নানাভাবে ক্ষতি করে থাকে। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের মানুষ গুড়া কৃমির সমস্যায় ভুগেন। তবে গুড়া কৃমির সমস্যা এতটাই জটিল যেটা আমরা খুব সহজ এ রোগটি সম্পর্কে বুঝতে পারি না। কারণ গুড়া কৃমির হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ তেমন লক্ষ্য আমরা বুঝতে পারি না। তবে পেট ব্যথা এবং যন্ত্রণার কারণে অনেক সময় এই রোগটি আমরা উপলব্ধি করতে পারি।
গুড়া কৃমি এমন একটি বিরক্তিকর জীব যেটা বছরের পর বছর দিনের পর দিন মানুষের শরীরে বসবাস করে। এরা মানুষের শরীর থেকে খাদ্য গ্রহণ করে মানুষের শরীরে বসবাস করে। আর শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাই অনেকেই অনলাইনে সার্চ দিয়ে জেনে নিতে চাই গুড়া কৃমি দূর করার উপায় গুলো কি সে সম্পর্কে জেনে নিতে। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দেবো গুড়া কৃমি দূর করার বেশ কিছু সহজ উপায়। আপনারা যারা এই বিষয়টি জানতে আগ্রহী আমাদের পুরো আলোচনাটি পড়ুন।বিভিন্ন কারণে মানুষের শরীরে গুড়া কৃমির জন্ম হয়ে থাকে।
মূলত নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের মূল কারণ। হঠাৎ হঠাৎ পেটে ব্যথা বা যন্ত্রণা হলে এটা গুড়া কৃমির লক্ষণ বোঝা যায়। যত প্রকারের কৃমি আছে সেগুলোর মধ্যে গুঁড়া কৃমি সবচেয়ে বেশি হয় মানুষের পেটে। কয়েক ইঞ্চি থেকে শুরু করে কয়েক ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘ্য হয় কোনো কোনো কৃমি। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে গুঁড়া কৃমি হওয়ার ঘটনা বেশি। গুড়া কৃমি মূলত এমন একটি সমস্যা যেটা মানুষের শরীরকে কুরে কুরে খায়।
গুড়া কৃমি দূর করার উপায়
কোন মানুষই গুড়া কৃমির সমস্যা থেকে পরিপূর্ণ ভাবে মুক্ত নয়। আর একবার শরীরে গোড়া কৃমির বাসা বাঁধলে তার শরীরের সমস্যার শেষ নেই। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৮৫% মানুষের পেটে গুড়া কৃমি বসবাস করে। তাই গুড়া কৃমি কে সাধারণ সমস্যা বলে অবহেলা করার কোনো কারণ নেই। কারণ শরীরে গুড়া কৃমির মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই অবশ্যই গুড়া কৃমি দূর করার উপায় গুলো আমাদের জানতে হবে। চলুন তাহলে জানা যাক এই বিষয়টি সম্পর্কে।
আদা খাওয়া
পেটের ভিতরে গুড়া কৃমি কে ধ্বংস করার জন্য আদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণ আদা খাওয়ার মাধ্যমে গুড়া কৃমিকে ডিম পাড়া, রক্ত খাওয়ায় বাঁধা দিয়ে থাকে। আদা খেতে পারেন বেঁটে বা পিষে খাবারের সাথে অথবা কুচি করে। ফলাফল মিলবে খুব দ্রুতই।
নিম পাতা
পেটের কৃমি দূর করার জন্য নিম পাতা বহু আগের প্রচলিত একটি পদ্ধতি। গুড়া কৃমি দূর করার জন্য কেউ যদি নিমপাতা ভেজে খেতে পারে তাহলে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান এটা। এটা পানির সাথে গুলিয়া বা এমনি যে কোনো ভাবে পেতে পারেন।
মধু ও কাঁচা পেঁপে
গুড়া কৃমি দূর করার জন্য খুবই উপকারী উপাদান হল মধু ও কাঁচা পেঁপে। এজন্য এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কাঁচা পেঁপের রস মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। সপ্তাহ খানেক খেলেই পেটের গুড়া কৃমি দূর হবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা
পেটের গুড়া কৃমি দূর করার জন্য আপনাকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন টয়লেটে যাবেন অবশ্যই পায়ের স্যান্ডেল থাকতে হবে। টয়লেট থেকে আসার পর নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সাঁতস্যতে এবং ময়লা স্থানে বেশিক্ষণ থাকা যাবে না।
কুমড়ার বীজ
গুড়া কৃমির প্রতিরোধের জন্য আমরা অনেকেই কুমড়ার বীজ খেয়ে থাকি এটি কার্যকর একটি উপাদান। কুমড়ার কয়েকটি বীজ পিষে গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে গুড়া কৃমি দূর হবে। তবে সাত দিন খেতে হবে।
পেঁপে খাওয়া
পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। পেঁপে পেটকে পরিষ্কার করে এবং গুড়ো কৃমির বাসস্থান ধ্বংস করতে পেঁপে কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। তাই কাঁচা পেঁপের রস ও মধু একসাথে খেলে গুড়ো কৃমির জন্য উপকার পাবেন।