বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর উপায়

বিলিরুবিন মানবদেহের জন্য খুবই জটিল একটি রোগের নাম। আমরা হয়তো অনেকেই এই রোগের নাম শুনে থাকবো আবার অনেকেই এই রোগের নাম শুনেনি। তাই বিশেষ করে লিভারের রোগীদের কাছে বিলিরুবিন নামটি নতুন কিছু নয়। সঠিক মাত্রায় বিলিরুবিন আমাদের শরীরের বিশেষ কিছু কাজ করে থাকলেও এর মাত্রা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। আর যতদিন যাচ্ছে বর্তমানে এই সমস্যাটি মানুষের দেহে তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর বিলিরুবিনের মাত্রা যদি দেহ থেকে কমানো না যায় নানান ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের জন্ডিস বা লিভার সমস্যা এই রোগ দুটা হয়। আর যার শরীরে এই রোগ দুটি হয় তাদের সাধারণত বিলিরুবিনের মাত্রা কমে যাবে। তাই অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জেনে নিতে চাই বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর উপায় গুলো কি সে সম্পর্কে জানতে। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর সহজ কিছু উপায়। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের পুরো আলোচনা সঙ্গে থাকুন। কারণ আমরা এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের কে বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেব।

বিলিরুবিন কমানোর আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে এই বিলিরুবিন কি। বিলিরুবিন হলুদ বর্ণের এক ধরনের তরল পদার্থ এই তরল পদার্থ দিয়ে উৎপাদিত হয়ে থাকে রোহিত রক্ত কণিকা। মানবদেহের জন্য বিলিরুবিন অনেক ধরনের কাজ করে থাকে আর সেই অনেক গুলো কাজের মধ্যে অন্যতম হলো বিলিরুনির মাধ্যমে খাদ্য হজম হয়ে থাকে। এটার মাধ্যমে মল বা পায়খানা তৈরি করতে সাহায্য হয়। রক্তে থাকা বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষেত্রে বিলিরুনের গুরুত্ব অন্যতম। একটি কারণে বিলিরুনের মাত্রা বেড়ে তাই। শরীরের দূষিত পদার্থ গুলোকে বর্জ্য আকারে শরীর থেকে বের না হলে বিলিরুবিনের মাত্রা বাড়তে থাকে।

বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর উপায়

ইতিমধ্যে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দিলাম মানবদেহের জন্য বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও আপনারা জানতে পেরেছেন বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারন গুলো। তবে অনেকেই বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর উপায় সঠিক ভাবে জানে না।

তাই অনেক সময় এর মাত্রা বেড়ে গেলে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। যেহেতু একজন মানুষের শরীরে এর মাত্রাটা স্বাভাবিক থাকাটা খুব জরুরী তাই আপনাকে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর সঠিক উপায় গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে এই উপায়গুলো কি সে সম্পর্কে জানি।

খাবার নিয়ন্ত্রণ

যাদের শরীরে বিলিরুবিনের পরিমাণ বেড়ে যাই তারা যদি বিলিরুবিনের মাত্রা কমাতে চান তাহলে অবশ্যই তাদের বেশ কিছু খাবার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাই সহজে হজম হয় না এই জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া উচিত নয়। এই সময়ে রিচ ফুড গুলো বাদ দিয়ে সহজে হজম হয় এইরকম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত বিলিরুবিনের পরিমাণ কমানোর জন্য। তাই পেঁপে, লাউ,কুমড়ো, এই খাবার গুলো বেশি খান।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

পানি আমাদের প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান আমাদের শরীরে বেড়ে যাওয়া বিলিরুবিনের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করতে পারে। তাই হঠাৎ করে যদি শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তাহলে দেখবেন আপনার শরীরের বিলিরুবিনের মাত্রা কমতে শুরু করবে।

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন

কেউ যদি বিলিরুবিনের মাত্রা কমাতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বদভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আর তার মধ্যে একটি হল ধূমপান বা অ্যালকোহল কেউ যদি নিয়মিত ভাবে ধূমপান বা অ্যালকোহল পান করেন তাহলে বিলিরুবিনের মাত্রা কমানোর জন্য এ ধরনের বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

অল্প সময়ের মধ্যে বিলিরুবিনের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে নয়তো ঘুমাতে হবে। তাই শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কমানোর জন্য আপনাকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এর কাজ গুলো না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে বা বিশ্রাম নিতে হবে।

ডাবের পানি

বিলিরুবিনের মাত্রা কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো তরল জাতীয় খাবার। আর তরল জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাবের পানি বা আখের রস। তাই শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে এই মাত্রাকে কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত ১ থেকে ২ গ্লাস ডাবের পানি পান করতে হবে।

Updated: January 26, 2024 — 3:19 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *