যাকাতের নিসাব কয়টি

যাকাতের ইবাদতটি প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তির উপর ফরজ না হলেও যদি কেউ যাকাত ফরজ হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সেই মুসলমান ব্যক্তি কাবিরা গুনাহ আওতাধীন হবেন। তাছাড়া মহাগ্রন্থ আল কুরআনে মহান আল্লাহ যেখানেই নামাজের কথা বলা বলেছেন, সেখানেই পর পর যাকাতের কথা বলেছেন। ইসলাম ধর্মে যাকাতের গুরুত্ব এতটাই দেওয়া হয়েছে। যদি কোন মুসলমান ব্যক্তির কাছে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে অর্থ্যাৎ নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয় তাহলে ওই আয় বা সম্পদের একটি অংশ মূলত যাকাত।

তবে একজন মুসলমান ব্যক্তিকে শুধু যাকাত দিলে হবে না বেশ কিছু বিষয় জেনে বা বেশ কিছু নিয়ম মাথায় রেখে যাকাত দিতে হবে। তাই আমাদের মধ্যে অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা রয়েছেন যারা সঠিকভাবে জানে না যাকাতের নিসাব কয়টি। আর এই বিষয়টি জানানোর জন্য তারা গুগল সহ অনলাইন এর বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছে। তাই তাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে জানিয়ে দেবো যাকাতের নিসাব কয়টি সে সম্পর্কে। এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পরুন।

মূলত একজন মুসলমান ব্যক্তিকে যাকাত দিতে হলে নিসাব পরিমাণ সম্পদ ওই ব্যক্তির কাছে পূর্ণ এক বছর স্থায়ী থাকতে হবে। যে সম্পদ কোনো একজন ব্যক্তির কাছে পূর্ণ এক বছর জমা থাকবে না তার উপর যাকাত দেওয়ার বিধান নেই। তাছাড়া আমরা অনেকেই শুধু যাকাত দিয়ে থাকি। কিন্তু যাকাতের সঠিক নিয়ম গুলো জানিনা। কিন্তু যাকাত প্রদানের জন্য যাকাতের নিসাব কয়টি এই বিষয় গুলো জেনে থাকাটা দরকার। এই বিষয় গুলো জানা থাকলে সঠিকভাবে যাকাত আদায় করা যায়। তাই যাদের ওপর যাকাত ফরজ হয়েছে এই বিষয় গুলো আমরা আগে থেকে জেনে থাকবো।

আমরা যারা মুসলমান তারা কম বেশি সকলেই জানি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যাকাত অন্যতম। মূলত রমজান মাস আসলে সমর্থমান মুসলমান ব্যক্তিরা যাকাত প্রদান এর জন্য আগ্রহী হয়ে পড়েন। আর তাই যাকাতের নিসাব কয়টি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। কারণ এই বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকে জানা থাকলে খুব সহজেই সঠিক নিয়মে যাকাতের মত ইবাদতটি পরিপূর্ণ ভাবে আদায় করা যায়। তাছাড়া সঠিক নিয়মে ও ইসলামের শরিয়া মোতাবেক যাকাত প্রদান করার কথা বলা হয়েছে।

যাকাত দেয়ার নিয়ম মূলত আরবি মাসের বছরে যেকোনো একটি দিন। তবে যাকাত দেয়ার উত্তম মাস হিসেবে আমরা অনেকেই রমজান মাসকে নির্বাচন করে থাকি। কারণ এই মাসটি আরবি মাসের যে কোন মাসের থেকে অতি উত্তম একটি মাস। তবে যাকাত মূলত কোন কোন সম্পত্তির উপর দিতে হয় এই বিষয়টি অনেক মুসলমান ব্যক্তি জানেনা। কারণ সব সম্পত্তির ওপর যাকাত ফরজ করা হয়নি। মূলত নগদ অর্থ ব্যবসায়ী পণ্য, স্বর্ণরুপ্পো ও আবাদি ফসলের ওপর যাকাত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে সেই সম্পত্তি এক বছর হিসেবে গচ্ছিত থাকতে হবে।

যাকাত দেয়ার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই যে বিষয়টি সবার আগে জেনে রাখতে হবে তা হল যাকাতের নিসাব কয়টি সে সম্পর্কে। যেহেতু যাকাত মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য দেওয়া হয় এবং নিজের ধন সম্পত্তি কে পবিত্র করার জন্য দেওয়া হয়। তাই যাকাত দেওয়ার নিসাব কয়টি এই বিষয়টি সঠিক ভাবে জেনে তা দিতে হবে। তা না হলে সেই যাকাত মহান আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল হবে না। আর যাকাত দেওয়ার আগে অবশ্যই আমাদের এই বিষয় গুলো জেনে রাখা দরকার। তাহলে যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়।

যাকাত ফরজ ইবাদত হলেও মূলত এই ইবাদতটি নামাজের মত দৈনন্দিন ইবাদত নয়। প্রতিটি সামর্থ্যবান মুসলমান ব্যক্তি কে তার সম্পত্তি থেকে বছরে একবার যাকাত বের করে তা বন্টন করতে হয়। তাই আমরা যখন যাকাত আদায় করব অবশ্যই যাকাতের নিসাব কয়টি এই বিষয়টি সঠিকভাবে জেনে যাকাতের মত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি পালন করবো। যেহেতু যাকাত সম্পদশালী ব্যক্তির জন্য ফরজ করা হয়েছে তাই আমরা অনেকেই যাকাত সম্পর্কে জানিনা। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের সবারই যাকাতের নিসাব কয়টি এ সম্পর্কে জেনে থাকাটা দরকার।

Updated: December 21, 2023 — 8:28 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *