আজকের নামাজের সময়সূচী ২০২৩

নামাজ আমাদের জন্য ফরজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে তাই কোনভাবেই এই ফরজ কাজটি আমরা ছাড়তে পারি না। নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি সেটা আমরা বিভিন্ন হাদিস এবং কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে বহুবার প্রমাণ পেয়েছি। আর আল্লাহতালার বান্দা হিসেবে সবসময় আমাদের বেহেশতে যাওয়ার আশা করতে হবে। সব সময় কিভাবে আল্লাহতালার নৈকট্য অর্জন করা যায় এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে দূরে থাকা যায় সে চেষ্টা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।

আপনারা যারা নামাজের সঠিক সময়সূচি জানার উদ্দেশ্যে আমাদের এই ছোট্ট আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন তাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমরা সব সময় এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য আমাদের পাঠকের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসি এবং আশা করব আজকেও তার ব্যতিক্রম হবে না। তবে হ্যাঁ অবশ্যই সময়সূচি বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন স্থানের সময় ভেদে এই সময়সূচীর পরিবর্তন হতে পারে। আপনাদের কাছে আকুল অনুরোধ থাকবে ধৈর্য সহকারে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন এবং কোন ধরনের ভুল যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করে দিবেন এবং আমাদের ভুলগুলো একটু দেখিয়ে দেবেন।

আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে আপনারা যারা নামাজের সময়সূচী জানতে চেয়েছেন তাদেরকে আমরা সঠিক পথ দেখানোর চেষ্টা করব এবং নামাজের সময়সূচী সম্বলিত পিডিএফ ফাইল গুলো দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু মাসের নামাজের সময়সূচী স্থান অনুযায়ী আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব এতে করে আপনারা নামাজের সময়সূচী সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পাবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনার দিকে যাওয়া যাক এবং শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেল।

আজকের নামাজের সময়সূচী ঢাকা জেলা

ঢাকা হচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী এবং ঢাকাতে সাধারণত বাংলাদেশের প্রত্যেকটি দপ্তরের প্রধান শাখা অবস্থিত। আবহাওয়া অধিদপ্তর এর প্রধান শাখা অবস্থিত বাংলাদেশের ঢাকাতে তাই সেখান থেকে মূলত দেশের প্রত্যেকটি জায়গার নামাজের সময়সূচী নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। আপনারা যারা একটি পঞ্জিকা ভালোভাবে বোঝেন অর্থাৎ নামাজের যে পঞ্জিকা দেওয়া আছে বিভিন্ন সালের একত্রিত করে তারা হয়তো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।

সূর্য অস্ত যাওয়ার একটি নির্ধারিত সময় রয়েছে এবং সেটা প্রায় কয়েকশো বছর ধরে একই রকম থাকে এবং পুনরায় সেটা আস্তে আস্তে আবার পরিবর্তন হয়। আপনি একটু লক্ষ্য করে দেখবেন এই বছর যে তারিখে সূর্য যতটা সময় অস্ত যায় ঠিক পরের বছর তার থেকে খুব বেশি হলে ১ মিনিট আগে অথবা এক মিনিট পরে সূর্য অস্ত যাবে এবং সেই হিসাব গুলো নিখুঁতভাবে করার মাধ্যমে নামাজের সময়সূচী বের করা হয়।

এখন আমরা আপনাদের ঢাকা জেলার আজকের নামাজের সময়সূচী সম্পর্কে অবগত করবো এবং আমরা যেই মাসের সময়সূচী আপনাদের জানাবো সেটা হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাস। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঢাকা জেলার নামাজের সময়সূচী সম্পর্কে আমরা আপনাদের এখানে জানাবো। অন্যান্য মাসের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে আপনারা একটু কষ্ট করে আমাদের দেওয়া www.google.com এই এখানে প্রবেশ করতে পারেন।

১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের ফজরের সালাত এর শেষ সময় ভোর ৫টা ২৪ মিনিট। এখানে যোহরের নামাজ এর সময়সূচি শুরু হবে ১২টা ১৬ মিনিট। আসরের নামাজের সময়সূচী চাঁদটা আট মিনিট। মাগরিবের নামাজের সময়সূচী সন্ধ্যা ৫.৪৮ মিনিট। ইশা সালাত আদায়ের সময়সূচী রাত ৭.৪ মিনিট। এক তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত ঠিক একই সময়সূচী প্রত্যেককে ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রত্যেকটি ওয়াক্ত মোতাবেক অপরিবর্তিত থাকবে। ৬ ফেব্রুয়ারি 2022 ফজরের সালাতের সময়সূচি ভোর ৫.২২ মিনিট এবং যোহরের নামাজের সময়সূচী দুপুর 12.16 মিনিট। এছাড়াও আসরের সালাতের সময়সূচী ৪.১১ মিনিট এবং মাগরিবের সালাতের সময়সূচী সন্ধ্যা 5.52 মিনিট এর পাশাপাশি এসার সালাত আদায়ের সময়সূচী রাত ৭.০৭ মিনিট। এই একই সময়সূচী বহাল থাকবে ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

১২ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ফজরের সালাত আদায়ের সময়সূচি ভোর ৫.১৯ মিনিট এবং দুপুরের সালাত আদায়ের সময় অর্থাৎ যোহরের সালাত ১২.১৬ মিনিট। আসরের সালাত আদায়ের সময়সূচী বিকেল ৪.১৫ মিনিট এবং মাগরিবের সালাত আদায়ের সময়সূচী সন্ধ্যা ৫.৫৫ মিনিট। এশার সালাত আদায়ের সময়সূচী রাত ৭.১০ মিনিট। এই একই সময় সুচি বহাল থাকবে ১৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ এর ফজরের সালাত আদায়ের সময়সূচি ভোর ৫:১৫ মিনিট এবং যোহরের সালাত আদায় সময়সূচী দুপুর 12.16 মিনিট। এর পাশাপাশি আসরের সালাত আদায়ের সময়সূচী বিকেল 4.18 মিনিট এবং মাগরিবের সালাত আদায়ের সময়সূচী সন্ধ্যা 5.59 মিনিট। এশার সালাত আদায়ের সময়সূচী রাত ৭.১৩ মিনিট এবং একই সময়সূচী বহাল থাকবে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ফজর সালাত আদায়ের সময়সূচী ভোট ১২.১১ মিনিট এবং জোর সালাত আদায়ের সময়সূচী দুপুর ১২.১৫ মিনিট। রাসূল সালাত আদায়ের সময়সূচি বিকেল ৪.২০ মিনিট এবং সন্ধ্যার সময়সূচী ৬.২ মিনিট। এশার শালা তাদের সময়সূচী রাত 7.16 মিনিট এবং 28 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই একই সময়সূচি বহাল থাকবে।

আজকের নামাজের সময়সূচী রাজশাহী

রাজশাহী জেলার সময়সূচি নিয়ে আজকে আমরা হাজির হলাম। রাজশাহী জেলাতে বহু মানুষ বসবাস করে এবং এই জেলা সবুজে সমৃদ্ধ একটি জেলা। আমরা যারা ঢাকা জেলাতে বসবাস করি তারা যতটা জনসমাগমের মধ্য দিয়ে জীবন পরিকল্পনা করি রাজশাহী জেলাতে তারা বসবাস করে তারা ততটাই আরামদায়কভাবে জীবন যাপন করে। তারপরও যারা ঢাকা জেলাতে রয়েছে তারা চেষ্টা করে ঢাকা জেলা দিয়ে থাকতে তার কারণ হচ্ছে এখানে রয়েছে বিভিন্ন জীবিকার উৎসব তবে অবশ্যই রাজশাহী জেলাও আস্তে আস্তে উন্নত হচ্ছে।

রাজশাহী জেলার সর্বস্তরের জনগণের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট নামাজের সময়সূচী এবং আমরা আপনাদের আজকে নির্দিষ্ট নামাজের সময়সূচী সম্পর্কে অবগত করব। আপনারা যদি ওপরে একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন সেখানে ঢাকা জেলার সময়সূচী সম্পর্কে খুব ভালোভাবে অবগত করা আছে। তবে শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের সময়সী সম্পর্কে সেখানে উল্লেখ করা আছে অন্যান্য ১১ মাসের সময়সূচী সেখানে নেই। আমরা আপনাদের www.google.com এই অপশনটির মাধ্যমে অন্যান্য ১১ মাসের সময়সূচি সম্পর্কে জানাতে পারব যেখানে ফাইল আকারে সবকিছু দেওয়া আছে।

ঢাকার থেকে রাজশাহীর দূরত্ব অনুযায়ী সময়ের পার্থক্য রয়েছে।একটু খেয়াল করে দেখুন আমরা যখন রমজান মাসে ইফতারি করি তখন রাজশাহীতে যখন ইফতারি হয় তার কিছু সময় আগে ঢাকাতে ইফতারি সম্পন্ন হয়ে যায়। এখানে অবশ্যই একটি বিষয় আপনাকে ফলো করতে হবে ঢাকা জেলাতে যে সময়সূচী দেওয়া আছে নামাজের জন্য রাজশাহীতে সেই সময়সূচী বহাল থাকবে না সেটা অবশ্যই পরিবর্তন হবে। সাধারণত আমরা জানি যে ঢাকা জেলার সঙ্গে রাজশাহী জেলার সবার পার্থক্য রয়েছে পুরো ৫ মিনিট।

আপনাদের পরিষ্কার ভাবে একটি জিনিস বোঝায় সেটা হচ্ছে ঢাকা জেলাতে যদি ইফতারের সময় হয় ৫ঃ৫৫ মিনিট তাহলে রাজশাহী জেলায় সেই দিন ইফতারের সময় আরো ৫ মিনিট যোগ করে পুরো ছয়টার সময় অনুষ্ঠিত হবে। আপনার হয়তো ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পেরেছেন তাই আপনাদের আমরা এটা জানাতে চাচ্ছি যে রাজশাহী জেলার আলাদাভাবে সময়সূচি জানার প্রয়োজন নেই আপনারা সরাসরি ঢাকা জেলার সঙ্গে ৫ মিনিট যোগ করে নামাজের সময়সূচী বের করতে পারবেন। তবে নামাজের সময়সূচী ২-৫ মিনিট এদিক ওদিক হলে সমস্যা নেই তার কারণ হচ্ছে নামাজের সময় অনেক থাকে অর্থাৎ প্রায় দেখতে গেলে প্রত্যেকটি ওয়াক্তেই 5 থেকে 15 এবং দুই ঘন্টা পর্যন্ত সময় থাকতে পারে নামাজ আদায়ের জন্য তাই এখানে ২-৫ মিনিট এদিক ওদিক হলে কোন চিন্তার কারণ নেই।

আজকের নামাজের সময়সূচি চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম জেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা বাংলাদেশের জন্য তার কারণ হচ্ছে এই কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সকল ব্যবসা পরিচালনা হয়। তাই চট্টগ্রাম জেলাতে বহু মানুষের সমাগম এবং সেই মানুষগুলো যদি সালাত আদায়ের জন্য সঠিক সময়সূচি জানতে চায় তাহলে যেন আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে সে সময়সূচির জানতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে মূলত আমরা আর্টিকেল তৈরি করেছি। আপনাদের অত্যন্ত আনন্দ সঙ্গে জানাচ্ছি যে আপনারা যদি একসঙ্গে প্রত্যেকটি নামাজের সময়সূচী অর্থাৎ ২০২৩ সালের পুরো বছরের প্রত্যেকদিনের নামাজের ৫ ওয়াক্তের সময়সূচি সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে আমাদের দেওয়া ফাইলটি ওপেন করুন। ফাইল ওপেন করার জন্য আপনাদের google.com এই লিংক ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখান থেকে ফাইলটি সংগ্রহ করতে হবে।

এছাড়াও আপনারা চাইলে আমাদের দেওয়া উপরের ঢাকা জেলার সময়সূচী সম্পর্কে আগে লক্ষ্য রাখতে পারেন এবং তারপরে ঢাকা জেলার সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলার যে সময়ের পার্থক্য সেটা নির্ধারণ করে আপনারা সময়সূচি নির্ধারণ করতে পারবেন। সাধারণত ঢাকা জেলা সঙ্গে চট্টগ্রামের সময়সূচী নির্ধারণ করতে হলে আপনাকে দুই মিনিট মাইনাস করতে হবে। মনে করুন ঢাকা জেলাতে ইফতারের নির্ধারিত সময় হচ্ছে ৫.৩৮মিনিট সেদিন চট্টগ্রামেতে ইফতারের সময়ের পার্থক্য ২ মিনিট হবে অর্থাৎ সেটা অনুষ্ঠিত হবে ৫.৩৬মিনিটে। ঠিক একইভাবে আপনি উপরে নামাজের সময়সূচী ও বের করতে পারেন তা আশা করছি এটা আপনাদের আরো সহজ ভাবে নামাজের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে অবগত করবে।

নামাজের শুরু ও শেষ সময়সূচী

নামাজের শুরু সময়সূচী নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক ধরনের দোটানা আছে। কেউ নামাজের এই শুরু এবং শেষের সময়টুকুতে নামাজ আদায়ের জন্য সকলকে আবেদন জানায়। এটা নিয়ম কোরআন এবং হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে সঠিক সময়ের মধ্যে নামাজ আদায় না করতে পারলে সেই নামাজটি কাজা হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে কাজা নামাজ আদায় করতে হয়। ফরজ নামাজ আদায়ের সঠিক যে নিয়ম আছে সেটা অনেকেই ছোট করে দিয়েছেন আবার অনেকেই অনেক বড় করে দিয়েছেন।

সাধারণত ফজরের ওয়াক্তে ওয়াক্ত শুরুর সময় আজান দেওয়া হয় এবং তারপরে প্রায় ৩০ মিনিট থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সময় পাওয়া যায় সালাত আদায়ের জন্য। শুভেচ্ছা দিকের আগে সালাত আদায় করে নিতে হয় তার কারণ হচ্ছে যখন পূর্বাকাশে সাদা আবার উঠতে শুরু করে তখন থেকেই নামাজের ওয়াক্ত শেষ হতে শুরু করে তাই এই অল্প সময়টুকুতেই নামাজ আদায় করতে হবে। এরপরে আসছে জোহরের ওয়াক্ত এবং যোহরের ওয়াক্ত প্রায় ১২টা ৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যায়। এবং এই ওয়াক্ত প্রায় দুপুর তিনটা পর্যন্ত বিরাজমান থাকে কিছু কিছু মতে এটা দুপুর তিনটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারে।

আসরের সালাত মূলত জোহরের সালাতের সময় শেষ হওয়ার পরে অর্থাৎ দুপুর তিনটা থেকে শুরু হয় এবং সেটা মাগরিবের সালাত আদায়ের প্রায় আধা ঘন্টা আগে শেষ হয়। তবে কিছু কিছু বর্ণনা অনুযায়ী আসরের সালাত মাগরিবের সালাত আদায়ের কাছাকাছি সময় আদায় করা যাবে না তার কারণ হচ্ছে এটা মাগরিবের সালাত আদায়ের সময় পূর্ববর্তী সময়ে যেখানে আপনাকে মাগরিবের সালাত আদায়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

মাগরিবের সালাতের জন্য সময়সূচী সবথেকে কম পাওয়া যায় অর্থাৎ সর্বোচ্চ 5 থেকে 7 মিনিট সময় পাবেন আপনি সালাত আদায় করার জন্য। কোন মসজিদে রক্ত শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আযান দেওয়া হয় এবং তার প্রায় দুই মিনিট পরে নামাজ পড়ানো শুরু করা হয় এবং নামাজ পড়তে যতটুকু সময় লাগে সবমিলিয়ে এখানে প্রায় 15 থেকে 20 মিনিট সময় পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ। এষার সালাত আপনি রাত ৭:১৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আদায় করতে পারেন। তবে একেবারে শেষ রাতে আদায় করা ঠিক হবে না তখন হয়তো সেটা কাজা হয়ে যাবে তাই এ বিষয়ে অবশ্যই জেনে শুনে আপনাকে কাজ করতে হবে।

নামাজ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

আজকে আমরা আমাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টার মাধ্যমে আপনাদের সামনে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে নামাজ সম্পর্কিত এমন কিছু আয়াত এবং এমন কিছু হাদিস তুলে ধরব আশা করব সেটা আপনাদের মন ছুঁয়ে যাবে। এটা আমরা সাধারণত সংগ্রহ করতে পেরেছি একুশে টেলিভিশন লিমিটেড এর একটি প্রতিবেদন থেকে যেখানে তারা নামাজ সম্পর্কিত কুরআনের নয়টি আয়াত এবং ছয়টি হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করেছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে যে জিনিস গুলো কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই জিনিসগুলো নিয়ে হাদিসে আলোচনা করা হয়েছে সে জিনিসগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি গুরুত্বপূর্ণ নাই হয়তো তাহলে আল্লাহতালা কখনোই আমাদের কোরআনে সেটা করতে নির্দেশ দিতেন না এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাধ্যমে হাদীস বর্ণিত হত না।

সূরা বাকারার (২:৫) এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে “তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। আর নিঃসন্দেহে তা বড়ই কঠিন বিনীতদের জন্য ছাড়া।

সূরা আনআম (৫:১৬২) এখানে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ” বল, নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরন জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য” ।

সূরা বাকারাহ (২:২৩৮) উল্লেখ করা আছে যে ” তোমরা সালাত সময়ের প্রতি এবং মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি যত্নবান হও, এবং আল্লাহর জন্য একান্ত আনুগত্য অবস্থায় দাঁড়াও ” ।

সূরা হাজ্জ (২২:৪১) এখানে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ” আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি তাহলে তারা সালাত কায়েম করবে, সৎকাজের নির্দেশ দেবে এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করবে, আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর (নিকট)” ।

সূরা আনকাবুত (২৯:৪৫) ” তুমি পাঠ করো তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে তা থেকে এবং সালাত কায়েম করো। নিশ্চয়ই সালাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করে। এবং আল্লাহর স্মরণে সর্বশ্রেষ্ঠ। আর তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন” ।

সূরা হুদ (১১:১১৪) উল্লেখ করা হয়েছে ” এবং তুমি সালাত কায়েম করো দিনের দুই দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয়ই ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য এটি এক উপদেশ।

সূরা নিসা (৪:১০৩) এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ” অতঃপর যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করবে তখন দাঁড়িয়ে, বসে এবং শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করো, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ করবে তখন সালাত কায়েম করো, নিশ্চয়ই সালাত মুমিনদের ওপর একটি সময় নির্ধারণ ফরজ ” ।

সূরা বনী ইসরাইল (১৭:৭৮) এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ” সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত কায়েম করো এবং কায়েম করো ফরজের কোরআন পাঠও। বিশ্বাস ফজরের পাঠ প্রত্যক্ষ করা হয় ” ।

সূরা জুমু’আ (৬২:৯) এখানে আল্লাহতালা বলেন ” ওহে যারা ঈমান এনেছো! জুমার দিনে যখন তোমাদেরকে সালাতের জন্য ডাকা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় পরিত্যাগ কর । এটি তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা জানতে।

উপরের উল্লেখিত আয়াতগুলো পবিত্র কোরআনে রয়েছে। এই প্রত্যেকটি আয়াতে রয়েছে বহু বিশ্লেষণ এবং বহু গবেষণা। তবে আমার মতে প্রত্যেকটি আয়াতই পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে সাধারণ বুদ্ধিতে তাই এখানে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন নামাজের গুরুত্ব কতটুকু সকল মুমিন ঈমানদার মানুষের জন্য। আপনি যদি আল্লাহ তাআলা নৈকত অর্জনের জন্য নিজেকে মমিন ঈমানদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাহলে এই নয়টি আয়াত নিজের জীবনে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্য নিয়ে সামনে এগুন। আশা করছি অবশ্যই আমরা সকলে আল্লাহ তায়ালার এই আদেশগুলো মেনে চলতে পারব এবং আল্লাহ তাআলার নৈকত অর্জন করতে পারব। আশা করছি আপনারা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল অনেক বেশি পছন্দ করবেন।

Updated: December 21, 2023 — 8:13 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *