আইয়ামে বীজের রোজা মার্চ 2024 কবে, কত তারিখ, গুরুত্ব ও ফজিলত

প্রতিটি মুসলমানের জন্য রমজান মাস ব্যতিত বিশেষ বিশেষ কিছু দিনে বা বিশেষ বিশেষ কিছু মাসে রোজা রাখার বিধান রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী। আমরা অনেকেই সেই রোজা সম্পর্কে জানি আবার অনেকে জানি না। আর এই বিশেষ রোজা গুলো হল নফল রোজা। আর সেই রোজা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোজা হল আইয়ামে বীজের রোজা‌। এই রোজা সাধারণত আরবি বার মাসের প্রতিটি মাসে রোজা রাখার কথা নির্দেশ রয়েছে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী প্রতিটি মুসলিম ব্যক্তিকে আরবীর প্রতিটি মাসে, মাসের মধ্যবর্তী সময়ে যে কোন তিন দিন আইয়ামে বীজের রোজা রাখা যায়।

রোজা কত তারিখে ২০২৩

আর কোন ব্যক্তি যদি আইয়ামে বীজের রোজা পালন করে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি সেই মাসের সারা বছরের রোজা থাকার সোয়াব পাবে। তাই আমরা আপনাদের জন্য আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আইয়ামে বীজের রোজা ২০২৩। আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আইয়ামে বীজের রোজা ২০২৩ এই বিষয়টি সম্পর্কে।

আইয়ামে বীজে এই দুটি শব্দ সাধারণত আরবি একটি শব্দ আর এ দুটি শব্দের বাংলা আভিধানিক অর্থ হলো আইয়ামে শব্দের অর্থ হলো দিবস আর বীজে শব্দের অর্থ শুভ্র বা সাদা। ইসলামের প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি সময় রয়েছে সেটা নামাজ হোক আর রোজা হোক আর আইয়ামে বীজে রোজার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে হিজরী মাসের অর্থাৎ চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ এই সময়টি হল আইয়ামে বীজের সময়। কেননা এই তিন দিনের রাতের চাঁদ খুব বেশি আলোকসজ্জা থাকে।

শবে বরাত কত তারিখে

তাই আইয়ামে বীজের সময় বলতে বোঝায় আরবি চন্দ্র মাসের সবচেয়ে আলোক সজ্জিত তিন রাতের সাথে এই সময়টিকে। আর এই সময়ের রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রোজা। আমরা যারা মুসলমান রয়েছি, তারা অনেকেই এই রোজা সম্পর্কে অবগত। আইয়ামে বীজের রোজা রাখা সুন্নত। কোন ব্যক্তি জাতি এ রোজা পালন করে থাকে সে ব্যক্তির জন্য বিশেষ ফজিলত ও অশেষ সওয়াব রয়েছে।

মহানবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে তিনদিন আইয়ামে বীজের রোজা পালন করতেন এবং তিনি তার সাহাবী এবং তার উম্মতদের এ রোজার পালন করার জন্য যথেষ্ট তাগিদ দিয়েছেন। তবে এ রোজা পালন করার ক্ষেত্রে একটি মাসে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে আর তা হলো রমজান মাস এর ক্ষেত্রে। রমজান মাসে যেহেতু পূর্ণ এক মাস রোজা ফরজ তাই রমজানে আইয়ামে বীজের রোজা নেই। যে ব্যক্তি মহান আলো তালা সন্তুষ্টি লাভের আশায় প্রতিমাসে আইয়ামে বীজে রোজা পালন করে।

সে ব্যক্তি সারা বছর নফল সিয়াম পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার দ্বারা পূর্ণ মাস রোজা রাখার সওয়াব লাভ হচ্ছে এবং এই পূর্ণ মাসের রোজায় ভাঙা বা বিনষ্ট হওয়ার প্রতিবন্ধকতাও নেই। আইয়ামে বীজের রোজা কোন ফরজ রোজা নয়। তাই কোন ব্যক্তি যদি এ রোজা থেকে নিজেকে বিরত রাখে সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের গুনা তার হবে না তবে কেউ যদি নিয়মিত এ রোজা রাখে অশেষ ছোয়াব রয়েছে।

আরবি প্রতি মাসে তিনটি করে নফল রোযা রাখা অত্যন্ত ফযীলত পূর্ণ আমল। তা মাসের শুরুতে হোক, মাঝখানে হোক বা শেষে হোক। চাই লাগাতার রাখা হোক বা বিছিন্ন ভাবে রাখা হোক। যেহেতু আইয়ামে বীজের রোজা পুরোটা আরবি মাসের হিসাব অনুযায়ী একজন মুসলিম ব্যক্তিকে রাখতে হবে। তাই ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর সাথে এর কোন মিল নেই কোন ব্যক্তি যদি এই রোজা পালন করতে চাই তাহলে আরবি মাস অনুসারে তাকে রোজা পালন করতে হবে। কারণ আরবি মাসের সাথে ইংরেজি মাসের কোন মিল নেই।

তাই কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি বর্তমান আরবি রজব মাসের ২০২৩ সালের আইয়ামে বীজের রোজা পালন করতে চাই তাহলে তাকে অবশ্যই ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনটি রোজা পালন করতে হবে। যেহেতু নফল ইবাদত গুলোর মধ্যে রোজা অন্যতম তাই প্রতি মাসে আমরা নফল ইবাদত হিসেবে আইয়ামে বীজের রোজা পালন করে থাকবো।

Updated: December 23, 2023 — 10:29 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *