আমাদের মাঝে অনেকেই অসুস্থ থাকে। সুস্থ মানুষ যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই অসুস্থ ব্যক্তির পাশে আমাদের অবশ্যই তাদের দাঁড়ানো উচিত। এবং এই অসুস্থ ব্যক্তির রোগমুক্তি কামনা করে আমরা বিভিন্ন সময়ে তাদের জন্য প্রার্থনা দোয়া ইত্যাদি করে থাকি। তাই এ ধরনের অসুস্থ ব্যক্তির রোগমুক্তি কামনা অথবা তাদের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উক্তি আমরা করে থাকি বা বিভিন্ন মানসিকন ভালো ভালো উক্তি করেছেন বিভিন্ন সময়।
আমরা এখন এ ধরনের উক্তি গুলি দেখতে থাকবো এবং পড়তে থাকবো। তাহলে চলুন দেখি যে বিভিন্ন মনীষীরা এ সম্পর্কে কি উক্তি গুলি করেছেন তা এখন আমরা পড়তে থাকি।
” হে মানুষ! তোমরা নিজেদের উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করো। দারিদ্র্যতা বা অসুস্থতা তোমাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাবে৷ (পবিত্র বেদ) মানুষদেরকে অর্থাৎ আমাদেরকে শুধু পরিশ্রম করে যেতে হবে তাহলে আমাদের অসুস্থতা বা রোগ এগুলি অবশ্যই আমাদের মধ্যে অত বাসা বাঁধতে পারবেনা।
এবং মানসিকভাবেও আমাদেরকে অবশ্যই সুন্দর থাকতে হবে হাসিখুশি থাকতে হবে শরীর এবং মন সুস্থ থাকলে অবশ্যই অসুস্থতা আমাদের গ্রাস করতে পারবে না। মানসিকভাবে যদি আমরা সুস্থ সুন্দর থাকি তাহলে অবশ্যই শারীরিকভাবেও সুস্থ সুন্দর থাকা যায়। অর্থাৎ বড় একটি বিষয় হলো যে মনকে সুন্দর রাখতে হবে মনকে সুস্থ রাখতে হবে তাহলে শরীর তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই সুস্থ থাকবে।
” অসুস্থ মানুষের চিন্তা ভাবনা গুলোও অসুস্থ”।
( হুমায়ুন আহমেদ) অর্থাৎ মানুষ যদি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকে তাহলে তার চিন্তা ভাবনা গুলো সুস্থ হতে পারে না এ কথাই বুঝাইছেন এই উক্তি দিয়ে। তাই আমাদের পূর্ব শর্ত হলো আমাদের অবশ্যই সুস্থ থাকতে হবে।
সুস্থ শরীর সুস্থ মন তবেই সব কিছু জয় করা যায়। তারপরেও আমাদের যারা হঠাৎ করেই অসুস্থ হয় তাদেরকে অবশ্যই সুস্থ হওয়ার জন্য যে যে ধরনের কাজগুলি করতে হবে সে সকল কাজগুলি অবশ্যই ভালো করতে হবে।
“যে ব্যক্তি সর্বক্ষণ নিজেকে অসুস্থ মনে করে। সে সারাজীবন অসুস্থই থেকে যায়”। (জুভেনাল)
আমাদের উচিত হবে যে কোন কারণেই হোক যেভাবেই হোক সুস্থ থাকতে হবে। অসুস্থ হওয়া চলবে না। অর্থাৎ যে যেভাবে সুস্থ থাকা যায় আমাদের উচিত হবে সেই ভাবেই সুস্থতা রক্ষা করা। ” রাজনীতি এবং সংস্কৃতি দুটো ভিন্ন বিষয় ৷ একটি রোগ অন্যটি স্বাস্থ্য। (হুমায়ুন আজাদ)
” সৎ কর্ম মানুষকে দৃঢ় ও সাহসী করে। দেহ ও মনকে রোগ ও পাপ থেকে মুক্ত রাখে। সকল প্রতিকূলতার উপরে বিজয়ী করে৷ (বেদ) সব সময় মানুষের সৎকর্ম করা উচিৎ সরকার সৎকর্ম মানুষকে দীর্ঘ এবং প্রত্যয়ী করে তোলে।
তাই আমাদের দেহ এবং মনকে অবশ্যই সুদৃঢ় করে গড়ে তোলা উচিত। তাহলে মনকে যদি সুদৃশ্য করা যায় তাহলে অবশ্যই আমাদের দেহ ভালো থাকবে। অসুস্থ যদি যদি সত্যিই হয় তাহলে সেটির জন্য অবশ্যই কিভাবে সুস্থতা অর্জন করা যায় তা আমাদের দেখতে হবে। তবে যদি সৎকর্ম করা যায় তাহলে অবশ্যই মন দীর্ঘ হয় সত্যের পথে থাকে তাহলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে।
আমরা সব সময় সৎ পথেই থাকবো সৎ পথেই চলবে তাহলে অবশ্যই নিজের দেহ এবং মন ভালো থাকবে। সকল ভালো ভালো উক্তিগুলিতে আমাদের এটি মনে করিয়ে দিল যে সৎ পথে সুস্থ দেহে থাকা যায় এবং অসৎ পথে অবশ্যই শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে।
তাই আমাদের উচিত হবে যে আমরা যেন সবসময়ই সকলকে সৎ পথে থাকার পরামর্শ দেই এবং সকলকে নিয়ে সুস্থভাবে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারি। শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনই আমাদের প্রায় 30 মিনিট যদি নিয়মিত হাঁটা যায় তাহলে অনেক রোগ মুক্তি থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। পরে আমরা আরেকটি উক্তি পড়ে নিতে পারি তাহলে চলুন পরের উক্তিটি কি দেখে নিই।
” ঋণ, অগ্নি এবং রোগের শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে৷ (চাণক্য)