অন্ধকার নিয়ে উক্তি

অন্ধকার বোঝাতে আমরা আসলে আলোর অনুপস্থিতি কে বুঝি। যেখানে আলো থাকেনা সেখানে অন্ধকার রয়। অন্ধকারের জীব বলতে যে সকল জীবেরা অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায় অর্থাৎ আলোতে থাকতে পারে না সে সকল জীবকে অন্ধকারের জীব বলে মানা হয়। তবে যে সকল জীব অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায় তাদেরকে আসলে ভয়ংকর অশুভ বলেই জানা হয়। মানুষের মধ্যেও যদি ভালো গুণ অনুপস্থিত থাকে অর্থাৎ বিদ্যা বুদ্ধি যদি না থাকে তাদের কেউ অন্ধকারের জীবের সঙ্গে অনেক সময় তুলনা করা হয়। তাই সাধারণত আমাদের সমাজে অন্ধকার বিষয়টি বিভিন্নভাবে বোঝানো হয়ে থাকে।

অন্ধকার জগত বলতে নিষাদ জগত খারাপ কাজের জগতকেই বোঝানো হয়ে থাকে। সেখানে আলো প্রবেশ করতে পারেনা অর্থাৎ ভালো কোন কিছু প্রবেশ করতে পারে না এটি বোঝাতেই বোঝানো হয় যে অন্ধকারের জগৎ। এবং অন্ধকারের জগৎ বা অন্ধকার দিয়ে কোন শুভ হতে পারে না। তাই যে কোনো অসুখকে বলতে আসলে অন্ধকার বসানো হয়। এবং আলোকে শুভ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মানুষের জীবন আলোয় ভরে উঠুক অর্থাৎ সকল অশুভ শক্তি দূর হয়ে শুভ শক্তির উদয় হোক এটি পৌঁছাতে আমরা আলোয় ভরে উঠুক বলে থাকি।

তাই চন্দ্র সূর্য ইত্যাদিকে আমরা শুভর প্রতীক হিসেবেই দেখে। অপরদিকে আলোর অনুপস্থিতি অর্থাৎ ঘর অমাবস্যা বোঝাতে মানুষের খারাপ অর্থাৎ জীবনে খারাপ সময় কেউ বোঝানো হয়ে থাকে। জীবনের আলোর উপস্থিতি নেই অর্থাৎ তার বিদ্যাবুদ্ধি এবং তার মধ্যে ভালো কিছু না থাকাকেই এই অন্ধকার বোঝানো হয়ে থাকে। তাই আমরা জীবনে সবকিছু আলোর উপস্থিতি বলতেই আসলে শুভ কিছু বুঝিয়ে থাকি। সকলের জীবন থেকে সকল অন্ধকার দূর হয়ে যাক এই কামনা আমরা সবাই সব সময় করে থাকি। অন্ধকার দূর হোক জাতির ভাগ্য আকাশ থেকে সমাজের ভাগ্যের কাছ থেকে সকলের ভাগ আকাশ থেকে আর এই কামনা করাই সকলের উচিত। এখন আমরা অন্ধকার সম্পর্কিত মনীষীগণের জ্ঞানীগণের উক্তি আমরা এখন দেখতে পারি।

তাহলে আসুন দেখি জ্ঞানীগণের উক্তি মনিষীগণের উক্তিগুলি করতে থাকে এবং সেগুলো একটু বিচার-বিশ্লেষণ করারও চেষ্টা করি। তাহলে চলুন দেখা যাক উক্তিগুলি পড়ে পড়তে থাকি এবং দেখতে থাকি।

“অন্ধকার কখনো অন্ধকারকে দূরীভূত করতে পারে না। শুধুমাত্র আলোই পারে অন্ধকারকে দূর করতে”।
(মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র)

এই উক্তিটি আসলেই অত্যন্ত সুন্দর একটি উক্তি কারণ অন্ধকার কখনো অন্ধকার দূর করতে পারে না অন্ধকার দূর করতে হলে অবশ্যই আলোর প্রয়োজন আছে। সেই আলো যে আসলেই সূর্যের আলো লাইটের আলো প্রদীপের আলো এগুলি বোঝাচ্ছে না আসলে বিদ্যা ভালো বুদ্ধি ইত্যাদি দিয়েই সমাজের অন্ধকার দূর করা যায়। আমরা যতই অত্যাধুনিক যুগে প্রবেশ করতে চাচ্ছি কিন্তু কোথাও কোথাও কোন ভাবে কোনখানে আমাদের পিছের দিকে অর্থাৎ অন্ধকার যুগের দিকেই নিয়ে যেতে চায় অনেক অনেকেই।

অন্ধকার থেকে আলোয় বেরিয়ে আসার পথ হয়তো আমরা পাব কিন্তু সেটি অবশ্যই সময় লাগবে। কিন্তু অন্ধকার থেকে আলোতে আমাদের ফিরতেই হবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা যেন সকলেই অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরে আসে। সকলের মনই যেন আলোয় ভরিয়ে দেয়। আমরা এর পরের উক্তিটি যদি পড়ি তাহলে সেখানে অন্ধকার সম্পর্কিত বেশ সুন্দর কথা লেখা আছে এখানেও।

“পৃথিবীর সবাই হলো একটা চাঁদের মতো। এখানে সবারই একটা আলোকিত দিক রয়েছে এবং একটা অন্ধকার দিক যা সে কখনো কাউকে দেখায় না”। (মার্ক টোয়েন)

পৃথিবী থেকে সব অন্ধকার দূর হয়ে যাক এটি আমাদের সবারই কামনা। পৃথিবীর সবাই যদি আমাদের তাদের সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে এ সকল চার থেকে যদি আলো বিকৃত হয় তাহলে আর পৃথিবীতে কোন অন্ধকার থাকতে পারে না। কিন্তু যদিও সকলকে তাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে কিন্তু সকলে চাঁদ না এর মধ্যে অমাবস্যার চাদর রয়েছে। যারা সমাজের কোন আলো তো দেয় না বরঞ্চ সমাজকে আরও অন্ধকারে নিমজ্জিত করার চেষ্টায় রয়েছে। তাই এ সকল লোকজনকে সমাজকে সাবধান থাকতে হবে এ সকল লোকজন থেকে।

Updated: February 3, 2024 — 9:42 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *