মানুষ মরণশীল। জন্মিলে মরিতে হবে এটাই বিধাতার নিয়ম। তাই বলা যায় যে যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যু আছে। মৃত্যুর স্বাদ তাকে গ্রহণ করতেই হবে। মৃত্যুর উর্ধ্বে কোন প্রাণী নয়। সে দিক থেকে মানুষেরও তাই জন্মিলে অবশ্যই মানুষকে মরণকে বা মৃত্যুবরণ করতেই হবে। আর যে কোন মৃত্যুই অবশ্য দুঃখের কারণ বা বিষয় হতে পারে। কারণ প্রতিটি মৃত্যু যে কাউকে মনের আঘাত দিতে পারে। স্বাভাবিক মৃত্যু মানুষকে খুব বেশি দুঃখ না দিলেও অকাল মৃত্যু বা অসময়ে মৃত্যু মানুষকে দুঃখে ভাসিয়ে দিতে পারে।
তাই এ ধরনের দুঃখের মৃত্যু নিয়ে মনীষীদের যে উক্তি রয়েছে সেসব উক্তি সম্পর্কে এখন আমরা দেখে নিব। সে সকল উক্তি গুলি যদি আমরা দেখি তাহলে অনেকটা হয়তো মনে জোর আসতে পারে। তাছাড়া যে কোন মৃত্যু মানুষকে দুঃখে সুখে মসজিদে দিতে পারে। যদি তারা মহা মনীষীদের উক্তিগুলো দেখতে থাকে তাহলে অবশ্যই কোন দিক থেকে না কোন দিক থেকে তারা মনে একটি সাহস পাবে এবং বাঁচার আবার প্রেরণা জাগতে পারে সেখান থেকে।
তাই আজ আমরা আমাদের এই পোস্টে মহাজ্ঞানীদের কিছু কিছু উক্তি বা মৃত্যু নিয়ে যে উক্তিগুলি রয়েছে সেগুলি এখানে দেখতে থাকব এবং কোন কোন উক্তি সম্পর্কে আমরা বিচার-বিশ্লেষণ ও করে দেখে নিতে পারি। তাহলে চলুন দেখা যাক বড় বড় সেই মানুষদের উক্তি গুলি কি আছে সেই সম্পর্কে ধারণা নিতে থাকি এবং উক্তিগুলি আমরা পড়তে থাকি তাতে আমাদের মনে অনেকটা জোর আসতে পারে। যেমন এখানে একজন মনীষী বলেছেন যে- ” আপনার জন্ম যেমন স্বাভাবিক ছিল তেমনি স্বাভাবিক ভাবেই আপনার মৃত্যুও হবে “। দেখুন এই মনীষী কত বড় সত্য কথা বলে গেছেন মৃত্যু নিয়ে তার এই উক্তিতে।
আমরা যদি এই উক্তিটি বিচার বিশ্লেষণ করি তাহলে মৃত্যু সম্পর্কে সত্য কথাই তিনি বলেছেন এটি বুঝতে পারা যায়। আমরা এর আগেই বলেছি যে যার জন্ম হয়েছে তার মৃত্যু হবেই এ কথাটি চিরন্তন সত্য কথা। তাই এই চিরন্তন সত্যকে আমাদের মেনে নিতে কোন অসুবিধা নাই। সাময়িক আমরা হয়তো দুঃখ পাবো কিন্তু বাক্যটি চিরন্তন সত্য বাক্য। আরেকজন মনীষী তার আরেকটি উক্তিতে বলেছেন যে- “মৃত্যু এবং জীবন কিন্ত বিপরীত নয় বরং মৃত্যু হলো জীবনের অংশ”।
তাহলে এই মনীষীর কথাতেও আমরা এতোটুকু দ্বিমত পোষণ করতে পারি না। কারন আমরা সকলেই জানি মৃত্যুর স্বাদ আমাদের ভোগ করতেই হবে যেখানেই থাকি না কেন পৃথিবীতে পালিয়ে বাঁচা যাবে না মৃত্যুবরণ আমাদের করতেই হবে। তাই মৃত্যু নিয়ে এত দুঃখ রেখে লাভ কি যদি চিরন্তন সত্য জীবনে যেটা ঘটবেই সেটি হয়তো দুই দিন আগে অথবা দুই দিন পরে প্রত্যেকের বা প্রতিটি প্রাণীর জন্যই যেতে ঘটবে সেটিকে নিয়ে এত বাড়াবাড়ি করার প্রয়োজন নেই।
তবে অস্বাভাবিক মৃত্যু সকলকেই কাঁদিয়ে যায়। যদিও সংসারে এ জিনিস গুলি ঘটবেই তারপরেও হয়তো এরকম মনে হয় যে কিছুদিন পরে হলে হয়তো তেমন কিছু মনে হতো না কিন্তু এত তাড়াতাড়ি কেন এ ধরনের প্রশ্ন আমাদের মনে হতেই থাকে এতে আমাদের মন অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। তারপরেও জীবনে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা জানি যে ধৈর্যই ধর্ম। আমাদের মেনে নিতে হবে এটি ঘটনা ছিল এটি ঘটবেই মনকে সান্ত্বনা দিতে হবে এবং মৃত্যুকে মেনে নিতে হবে।
তারপরের উক্তিটি সম্পর্কে লিখে নেই এবং উক্তিটি পড়তে থাকি আমরা। এই মনিষী বলেছেন যে- ” মৃত্যু একটি জীবনকে ধ্বংস করতে পারে একটি সম্পর্ককে নয়”। আসলে আমরা জানি যে আত্মা অবিনশ্বর আত্মার মৃত্যু নেই শুধুমাত্র দেহের মৃত্যু হল। তাই তিনি বলেছেন যে মৃত্যু খালি জীবনকে ধ্বংস করতে পারে তার সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল সে সম্পর্ক আমাদের রয়ে যাবে এ সম্পর্ক কখনো ধ্বংস হবে না। এতে সম্পর্কের একজন লোক বা মানুষ হয়তো বিচ্ছিন্ন হলো কিন্তু তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক কিন্তু বিচ্ছিন্ন হলো না সম্পর্ক থেকেই যাবে।