ইস্তেগফার করার নিয়ম

এই দুনিয়ার জীবনে চলার পথে মানব জাতি প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভুল বা পাপ কাজে নিজেদের লিপ্ত করেন। আর এর মধ্যে তারাই উত্তম যারা আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে নেয়। আর মহান আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার করা ছাড়া আমাদের মুক্তির কোনো পথও নেই। তাছাড়া যারা পাপ কাজ করে কিন্তু মহান আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চাই না সে সকল বান্দাদের মহান আল্লাহতালা পছন্দ করেন না। আর ক্ষমা প্রার্থনার জন্য মহান আল্লাহতালা আমাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোয়া নির্ধারণ করেছেন আর তার মধ্যে ইস্তেগফার অন্যতম।

মহান আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বিভিন্ন ধরনের মাধ্যম রয়েছে। তার মধ্যে গুনাহ মাফের জন্য দোয়া করার নামই ইস্তেগফার। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মুসলিম ব্যক্তি রয়েছে কিভাবে ইস্তেগফার করতে হয় এর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানে না। আর এ বিষয়টি তারা জানার জন্য গুগল সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করছে। তাই তাদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানিয়ে দেবো ইস্তেগফার করার নিয়ম। আপনারা যারা এই নিয়মটি সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আজকের আলোচনাটি শেষ অব্দি পরুন।

মুসলমান জাতির জন্য মহান আল্লাহতালা মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও হাদিসের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় ইস্তেগফার কিভাবে করতে হবে কোন নিয়মে করতে হবে সে বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি এই বিষয় গুলো সঠিকভাবে সঠিক নিয়ম না করেন তাহলে কোন ধরনের ইবাদত মহান আল্লাহতালার কাছে কবুল হবে না। তাই আপনি যখন ইস্তেগফার করবেন অবশ্যই কোন নিয়মে বা শরীয়তের নিয়ম অনুসারে হচ্ছে কিনা এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে সেই ইবাদত করতে হয়। কারণ মহান আল্লাহতালা প্রতিটি ইবাদতের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি নিজের মনগড়ায় যে কোন এবাদত ইচ্ছামত করে তাহলে সে ইবাদতের কোন মূল্য মহান আল্লাহতালার কাছে নেই। তাই আমরা যখন মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে কোন এবাদত করব বা তাকে খুশি করার জন্য ইবাদত করব অবশ্যই তার দেওয়া নিয়ম আদেশ মেনে তা পালন করবো। কারণ তিনি তার ইবাদতের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে বলেছেন।

একজন মুসলমান ব্যক্তি কে ইস্তেগফার করার জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। আর আপনি যদি নিয়মের বাইরে গিয়ে ইস্তেগফার করেন তাহলে সেটা মহান আল্লাহ তালার কাছে কবুল হয় না। তাই ইস্তেগফার করার আগে প্রথমত অতীতের গুনার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে লজ্জিত হতে হবে। দ্বিতীয়ত ভবিষ্যতে ওই গুনাহ না করার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তৃতীয়ত নিজের অপরাধের জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে হবে। এবং মহান আল্লাহ তলার কাছে প্রতিশ্রুতি করতে হবে ওই পাপ কাজে নিজেকে কখনো আর জড়াবো না।

তাছাড়া ইস্তেগফার করার জন্য যে বিষয়টি একজন বান্দাকে মনে রাখতে হবে তাহলো। যদি কোনো বান্দার হক জড়িত থাকে, তাহলে তা আদায় করে দিতে হবে। একজন প্রকৃত মুমিন মুসলমান ব্যক্তি যদি ইস্তেগফার সঠিক নিয়মে পালন করতে চাই তাহলে অবশ্যই শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ইস্তেগফার সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে। কারণ ইস্তেগফার শুধু পালন করলে হবে না সেই নিয়ম অনুযায়ী যদি পালন না করা হয় তাহলে ইস্তেগফার করে কোন লাভ নেই। তাই একজন মুসলমান ব্যক্তি কে এই ইস্তেগফারের নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা দরকার।

যে সকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় ইস্তেগফার করার নিয়ম সম্পর্কে অনুসন্ধান করছিলেন। আমরা আপনাদের জন্য আমাদের আজকের আলোচনায় কোন নিয়মে ইস্তেগফার করলে সঠিক হবে সেই বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করলাম। আপনি যদি ইস্তেগফার নিয়ম জানতে চান তাহলে আমাদের পুরো আলোচনাটি পড়তে হবে। আপনারা যারা ইস্তেগফার করতে চান পুরো আলোচনাটি পড়ুন। আর জেনে নিন ইস্তেগফার করার নিয়ম। আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।

Updated: December 20, 2023 — 3:47 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *