এলার্জি সর্দি থেকে মুক্তির উপায়

নাকে এলার্জি অত্যন্ত বিরক্তি করে একটি অভিজ্ঞতা। এটা সাধারণত শুধুমাত্র আপনাকে বিরক্তি কারো অভিজ্ঞতা উপভোগ দেয় না এটা আপনাকে অনেক বেশি অসুস্থতা এবং পৃথিবীর থেকে ভালোভাবে উপভোগ করার সময়টা নষ্ট করতে বাধ্য করে। সাধারণত নাকে এলার্জির কারণে নাকে সর্দি হওয়া অথবা হাঁচি হওয়ার মতন প্রবণতা প্রত্যেকের মাঝে দেখা যায়। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আপনি কি করতে পারেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোন কোন উপায় ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি এটা থেকে উপকৃত হতে পারেন সে সম্পর্কে আজকে জানবো।

সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি যখন এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন তখন আপনার ও ভালো লাগবে এবং আমাদের ভালো লাগবে। যাদের নাকে এলার্জি আছে তারা কিভাবে নাকের এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং নাকের এনার্জি প্রতিরোধে কি করনীয় আছে সে সম্পর্কে আজকে জানবো। আমরা খুব সুন্দর তথ্য নিয়ে এসেছি যে তথ্যগুলোর উপর অনেকেই ভরসা রাখতে পারেন এবং বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এগুলোকে সাজানো হয়েছে।

নাকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

সাধারণত রাস্তার ধুলা এবং পুরাতন বইপত্র বা পত্রিকার কারণে এ ছাড়াও বাসায় পুরাতন ঢোলা জমা বা কসমেটিকের ব্যবহারের কারণে নাকের এলার্জি হতে পারে। এর পাশাপাশি ফুলের রেনু এবং পশুপাখির লোম এলার্জির অন্যতম কারণ। যাদের নাকের অ্যালার্জি আছে এবং সর্দি আছে তারা একটু খেয়াল করলেই দেখবেন আমরা এখানে যে জিনিসগুলোর কথা উল্লেখ

করলাম সেগুলো আপনার সংস্পর্শে আসলেই আপনার হাঁচি হবে এবং নাক দিয়ে সর্দি পড়তে শুরু করবে ও নাক চুলকাবে। তাহলে এক কথায় একে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনাকে এই জিনিসগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং একটি নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতে হবে।

গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া সিগারেটের ধোঁয়া এলার্জির অন্যতম কারণ। এছাড়া বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শিল্প কারখানার ধোয়া অন্যতম একটি কারণ এলার্জি হওয়ার জন্য। এগুলো ভেতর থেকে এলার্জিকে সৃষ্টি করে তাই আমরা যদি ভেতর থেকে এলার্জি নির্মূল করতে চাই এবং নাকের অ্যালার্জি থেকে মুক্ত থাকতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই এগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে।

অনেকের ক্ষেত্রে খাবারের মধ্য থেকে এলার্জি ছড়াতে পারে এক্ষেত্রে যাদের খাবারে অ্যালার্জি আছে তারা অবশ্যই সেই খাবারগুলো খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে পারেন। শুনতে পাওয়া যায় ইলিশ মাছ, বোয়াল, মাছ চিংড়ি এই ধরনের খাবার খাওয়া অনেকের জন্য অ্যালার্জি বৃদ্ধির কারণ তাই কষ্ট হলেও এই খাবারগুলোকে বন্ধ রাখতে হবে এর পাশাপাশি বেগুন ও হাঁসের ডিম থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে তাই অবশ্যই নাকের অ্যালার্জি প্রতিরোধে এগুলো নিয়ে সতর্ক অবস্থানে থাকুন।

শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়া বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকে তাই এই সময় সমস্যা বেশি হতে পারে তাই চেষ্টা করুন যখন আপনি বাইরে যাবেন তখন অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে। নাকের স্বাস্থ্যরক্ষা করার জন্য এবং নাকের অ্যালার্জি দূর করার জন্য অবশ্যই এই অভ্যাসগুলো আপনাকে এলার্জি থেকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে।

সর্দি হাঁচি থেকে মুক্তির উপায়

সর্দি হাজি একটি খুব সাংঘাতিক ঘটনা। এজন্য আপনাদের অবশ্য সতর্ক থাকা উচিত বিশেষ করে ধুলাবালি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার ক্ষেত্রে। যদি এগুলো হয়েও যায় তাহলে আপনি যে কাজগুলো করবেন তাকে সেগুলোর মধ্যে আন্টি হিসটামিন ওষুধ সেবন করবেন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

এর পাশাপাশি গরম পানি দিয়ে গড়গড়ি করা এবং সব সময় গরম পানি খাওয়া এবং বিভিন্ন গরম জিনিসের ভাব নেওয়া যেমন কালিজিরার ভাব নেওয়া এই অভ্যাসগুলো আপনি করে তুলতে পারেন সর্দি হাসি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। এছাড়াও তুলসী পাতার ব্যবহার যেটা অত্যন্ত উপকার বয়ে আনতে পারে এছাড়াও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া যেমন কামরাঙ্গা সেদ্ধ করে খাওয়া এ ধরনের অভ্যাস সর্দি কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

Updated: January 30, 2024 — 3:09 pm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *