ইসলামের ইতিহাস অনুসারে মুসলমান দের বেশ কিছু গুরুত্ব পূর্ণ দিন রয়েছে। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলোর মধ্যে শবে মেরাজ অন্যতম একটি দিন। যা সারা বিশ্বের মুসলমান খুবই মর্যাদা ও গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে। মূলত শবে মেরাজ অর্থ হল খুব সম্মানিত একটি রাত। তাই এই রাতকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মুসলমানরা নানান ধরনের ইবাদতে ব্যস্ত থাকেন। তারা রাতে নফল নামাজ কোরআন তেলাওয়াত জিকির ইত্যাদি এগুলো করে থাকেন এবং দিনের বেলায় মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে রোজা পালন করে থাকেন।
তাই প্রতিটি মুসলমানের কাছে শবে মেরাজ মানেই মহান আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে নানান ইবাদত পালন করা। যেহেতু ইবাদতের মধ্যে রোজা অন্যতম তাই অনেকেই জানতে আগ্রহী বা জানতে চান শবে মেরাজের রোজা কবে ২০২৩ বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে। তাই মুসলিম ভাই ও বোনদের সুবিধার জন্য আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেবো। আর এই বিষয়টি জানা প্রতিটি মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য জরুরী।
শবে মেরাজের রাত এমন একটি রাত যে রাতে মহান আল্লাহতালা মানবজাতির উপর পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ নির্ধারণ করেছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাধ্যমে। শবে মেরাজের রোজা সম্পর্কে জানতে হলে আগে আমাদের জানতে হবে শবে মেরাজ কি আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান জানে না শবে মেরাজ মূলত কি। ইসলামী পরিভাষায় যে রাতে নবী করীম (সা:) মহান আল্লাহ তায়ালার ডাকে সারা দিয়ে উর্ধ্ব আকাশে গমন করেছিলেন সেই রাতকে শবে মেরাজের রাত বলা হয়।
ইসলামের ইতিহাস থেকে জানা যায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুয়তের পঞ্চম বছরে এই শবে মেরাজের রাত টি সংঘটিত হয়েছিল। তাই ইসলামের নির্দেশিত মতে আরবি ক্যালেন্ডার অনুসারে অর্থাৎ আরবি মাসের রজব মাসের ২৭ রজব সারা বিশ্বের মুসলমানরা শবে বরাত পালন করে আরবি মাসের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে। যেহেতু ইসলাম ধর্মের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ দিন গুলো আরবি মাসের চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই শবে মেরাজের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। শবে মেরাজ মূলত রজব মাসেই পালন করা হয়।
আমাদের মধ্যে অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে রোজা রাখেন বা রোজা রাখতে চান। তাই তারা জানতে চাই শবে মেরাজের রোজা কবে ২০২৩ বা শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে। মূলত ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা মোতাবেক বা বিভিন্ন হাদিস অনুসারে শবে মেরাজের রোজা কত তারিখে রাখতে হবে এরকম কোন নির্দিষ্ট হাদিস পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্য এক হাদিসে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে রজব মাসের ইবাদত সম্পর্কে।
কোন মুসলমান ব্যক্তির কাছে রজব মাস আসলো কিন্তু ক্ষেত চাষ করলো না, শাবান মাস আসলো ক্ষেত নিরানি দিল না, সে তার ফসল রমজান মাসে ঘরে তুলতে পারবে না। যেহেতু এই হাদিস থেকে বোঝা যাচ্ছে রমজানের জন্য প্রস্তুতি মাস হল রজব মাস। তার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এই মাসে রোজার জন্য প্রস্তুত শুরু করে দিতেন। এই মাসটিতে তিনি ঘন ঘন রোজা পালন করতেন। কিন্তু শবে মেরাজের রোজা কখন কোন তারিখে কিভাবে পালন করতে হবে এরকম কোন বিষয়ে উল্লেখ করেননি। তাই শরীয়তে যেটা পালন করার নির্দেশ তা পালন করা বিদআত।
প্রতিটি মুসলমানের কাছে নামাজ রোজা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তাই আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান ব্যক্তি রয়েছেন যারা শবে মেরাজ উপলক্ষে কত তারিখে রোজা তা কয়টা রোজা পালন করতে হয় এসব প্রসঙ্গে জানতে চান। যেহেতু অনেকে মনে করেন শবে মেরাজের রোজা ও নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তাদের উদ্দেশ্যে বলছি হ্যাঁ নামাজ রোজা প্রতিটি মুসলমানের জন্যই অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ একটি ইবাদত। নামাজ রোজা পালন করা অত্যন্ত সওয়াবের একটি কাজ।
কিন্তু শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শবে মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ কোনো নামাজ বা বিশেষ কোন রোজার কথা উল্লেখ নেই। তাই আমরা শবে মেরাজের রোজা পালন থেকে নিজেদের বিরত রাখব। তবে এই মাটিতে বেশি বেশি করে রোজা পালন করার কথা বলা হয়েছে কিন্তু শবে মেরাজ উপলক্ষে নয়। শবে মেরাজের রোজা কবে ২০২৩ আপনারা যারা জানতে চাচ্ছিলেন এই বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।